মহানগর ডেস্ক: আজ আচমকাই নবান্নে পৌঁছেছিলেন প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) ও তাঁর সঙ্গী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishakhi Banerjee)। সেখানেই ঘন্টাখানেকের বৈঠক হয় দিদি ও ভাইয়ের মধ্যে। এরপর নবান্ন থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আজ রাজনৈতিক বৈঠকি হয়েছে। তিনি খুব খুশি শোভন চট্টোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে যে অভিমানের প্রাচীর ছিল তা আজ ভেঙে গিয়েছে। আর এর মধ্যেই রত্না চট্টোপাধ্যায়ের (Ratna Chatterjee) বিষয়ে প্রশ্ন উঠে এলেই সরাসরি এড়িয়ে যান যুগল।
আরও পড়ুন: বর্ষায় রুক্ষ-শুষ্ক চুলের যত্ন নেবেন কীভাবে? জেনে নিন
আদালতে এখনও চলছে রত্না ও শোভনের বিবাহ-বিচ্ছেদের কেস। তাদের সন্তান আপাতত রত্না চট্টোপাধ্যায়ের কাছেই থাকেন। আর এরই মধ্যে বেহালা পূর্ব ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। সঙ্গে তিনি বিধায়িকা। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ৬,২০০ ভোটে জিতেছিলেন তিনি। এবার রত্না চ্যাটার্জি সেই ‘নম্বর’কে পিছনে ফেলে ১০,২০৬ ভোটে জয় হাসিল করে ছিলেন। রাজনীতির ময়দানে রত্না-শোভন-বৈশাখী এই ত্রিকোণ দ্বন্দ্ব সকলের অবগত। কিন্তু তারই মধ্যে এবার শোনা যাচ্ছে ২১ জুলাই এর আগেই তৃণমূলে অর্থাৎ নিজের পুরনো ঘরে ফিরতে চলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের জল্পনা শুরু হয়েছে।
শোভনের সঙ্গে বৈশাখীর ঘনিষ্ঠতা এবং তা নিয়ে দলের ভাবমূর্তি নষ্টের বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপত্তি জানিয়েছিলেন বলে জানা যায়। কিন্তু বৈশাখীর দাবি, অভইমান তৈরি হয়েছিল বটে। এমনকি তৎকালীন সময় জানা গিয়েছিল, আচমকাই মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: এই সমস্ত খাবার খেলে সহজেই বাড়বে ত্বকের উজ্জ্বলতা
বিজেপি ছাড়ার পর থেকেই কার্যত রাজনীতি থেকে বেশ কিছুটা দূরে ছিলেন শোভন। বিধানসভা নির্বাচনে বিধায়ক, এরপর কাউন্সিলর নির্বাচনে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ওয়ার্ড চলে আসে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের হাতে। অর্থাৎ বিধায়ক হওয়ার সাত মাসের মধ্যেই কাউন্সিলর হয়ে যান রত্না চট্টোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন এই যুগল। এরপর ২০২১ সালে বিজেপি ছাড়ে এই জুটি। তার একবছর কাটতে না কাটতেই তৃণমূলের শরণাপন্ন হচ্ছেন শোভন-বৈশাখী। আজ নবান্ন থেকে বেরিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দিদির নির্দেশকে বাস্তবায়িত করে কাজ করব।
অন্যদিকে বৈশাখী জানিয়েছেন, ‘অভিমানের প্রাচীর ভেঙে গিয়েছে। শোভন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজে ফিরে আসুক। কারণ আমি মনে করি রাজনীতিতে এখনও শোভনের দেওয়ার মতো অনেক কিছু আছে’।