মহানগর ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে আগের বার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। এবার কি কুর্সিতে বসতে বরিস জনসনের বিরুদ্ধে লড়তে হতে পারে ঋষি সুনককে। ব্রিটেনের রাজনৈতিক সংকট দেখা দিতেই এই নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, অন্তত ১০০ জন সাংসদের সমর্থন রয়েছে ঋষির দিকে। অন্যদিকে লন্ডনের ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে বরিসকে ফেরাতে চাইছেন বর্তমান মন্ত্রিসভার ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বরিস জনসন। তাঁর মন্ত্রীসভাতেই অর্থমন্ত্রী ছিলেন ঋষি সুনক। ৫ জুলাই ইস্তুফা দেওয়ার পরেই বরিসকে সরে যেতে হয়েছিল। ওই সময়তেই বরিসের মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যও পদত্যাগ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে দুই দলের মধ্যে ভোটাভুটি করেছিল কনজারভেটিভ পার্টি। সেই ভোটেই লিজ ট্রান্সের কাছে পরাজিত হন ঋষি সুনক।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে একেবারে সামনের সারিতে রয়েছেন ঋষি সুনক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, এবারও কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে ঋষি সুনককে। কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে ‘বরিস ফেরাও’ শ্লোগান। স্লোগান তুলেছেন বর্তমান মন্ত্রিসভার ছয় সদস্য। এছাড়াও বরিসকে সমর্থন জানিয়েছেন, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেলও।
২৪ অক্টোবর, সোমবার প্রধানমন্ত্রীর জন্য মনোনয়ন জমা দেবে কনজারভেটিভ দল। মোট তিনজন মনোনয়ন জমা দিতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। মনোনয়ন জমা দিতে অন্তত ১০০ সাংসদের সমর্থন লাগবে। বরিসের পক্ষে এই সমর্থন আদায় করা খুব কঠিন হবে না বলেই মনে করছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলির একাংশ।
বর্তমানে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তাঁদের আসন সংখ্যা ৩৫৭। পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ দের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও গত তিন বছরে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন দু’জন প্রতিনিধি। একইসঙ্গে দুজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং দু’জন অর্থমন্ত্রীকেও পেয়েছে ব্রিটেন। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ব্রিটেনের আর্থিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার বা আইএমএফের কাছে ঋণ চাইতে হতে পারে। এই ডামাডোলে কে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদে বসতে চলেছেন তাই নিয়েই চলছে জল্পনা।