মহানগর ডেস্ক: ভারতে যাঁরা বাস করেন, তাঁরা সকলেই হিন্দু (Every One Is Hindu)। ভারতকে যাঁরা মাতৃভূমি বলে ভাবে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে তাঁরা হিন্দু। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন আরএসএসের প্রধান মোহন ভাগবত (RSS Chief)। ছত্তিশগড়ের অম্বিকাপুরের সুরযুগায় এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে আরএসএস প্রধান বলেন, এটাই ধ্রুব সত্য। আর এই সত্যের কথা সঙ্ঘ বলে আসছে। কেউ কোনও ধর্মের অনুগামী হতে পারেন, তাঁদের পোশাক আশাক আলাদা হতে পারে। কিন্তু তারা সবাই হিন্দু। এ কারণে কয়েকশো বছর ধরে একসঙ্গে বাস করছেন সবাই।
তাঁর আরও দাবি চল্লিশ হাজার বছর ধরে সবারই এক ডিএনএ। এরপর অবশ্য ভাগবত আসল কথায় এসেছেন। তিনি বলেন, সঙ্ঘকে বুঝতে গেলে এখানে যোগ দেওয়াটা সব থেকে সেরা উপায়। এই সংঘঠনের শাখায় এলে যে কারোই ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে। এখানে আসতে কোনও ফি লাগে না। এর স্বাদ নিলে মিষ্টি ব্যাপারটা বোঝা যাবে। তাঁর কথা, বিচ্ছিন্নতার কথা বলা হলেও সবাই একসঙ্গে রয়েছেন। ভাগবত বলেন, প্রত্যেকেরই আলাদা ঈশ্বর রয়েছেন। এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না। বেদের যুগ থেকে মানুষ এখানে একসঙ্গে বাস করছেন। ছোটমনের মানুষ নিজেদের মধ্যে ঝগড়া, অশান্তি করেন। ভারতে একটাই ঈশ্বর নেই, একই ভাষা নেই। অনেক জাত রয়েছে। তবু ভারত কিন্তু এক।
রাজারা বদলান, কিন্তু ভারত একই রয়ে গিয়েছে। সঙ্ঘের হয়ে তাঁর বক্তব্য, সঙ্ঘের সঙ্গে কারো তুলনা হয় না। যেমন আকাশের সঙ্গে কারো তুলনা চলে না। সঙ্ঘের মানে বই পড়ে বা লিখে বোঝানো যাবে না। প্রত্যেকে নিজেদের ঈশ্বর নিয়ে নিজের বিশ্বাসে অটল রয়েছেন। আমাদের উত্তরসূরি একজনই। কারো ঈশ্বরে বিশ্বাসের বদল ঘটাবেন না। সব পথই এক জায়গায় গিয়ে মিলেছে। প্রত্যেকেরই এক পথে হাঁটা উচিত। সঙ্ঘের নিজের কোনও স্বার্থ নেই। তার প্রচারেরও পরিচয় নেই। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে দেশের বুদ্ধিজীবী ও মুসলিম মৌলবীদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন ভাগবত।