মহানগর ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নিউইয়র্কে যাতায়াতের জন্য সৌদি বিমান দিলেও ভারতের তেকে মুখ ফিরিয়ে নেই৷ তার প্রমাণ সৌদির মুকুটহীন শাসক যুবরাজ সালমান প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বারতে বিপুল পরিমান বিনিয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন৷ এর পরিমাণ ১০ হাজার কোটি ডলার বলে জানিয়েচে সৌদি প্রশাসন৷ ভারতে সৌদির রাষ্ট্রদূত সউদ বিন মোহাম্মদ আল সতি এ প্রসঙ্গে জানান, বিনিয়োগের জন্য ভারত যথেষ্ট আকর্ষণীয় একটি দেশ। তেল, গ্যাস এবং খনির মতো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে নয়াদিল্লির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্বের পরিকল্পনা চলছে।বিনিয়োগের কথা বলতে গিয়ে তিনি রিলায়্যান্স ও সৌদির তেল সংস্থা অ্যারামকোর যৌথ অংশীদারিত্বের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তাঁর মতে, এ দুই সংস্থার অংশীদারিত্ব এটা স্পষ্ট করছে যে ভারতে জ্বালিনির বাজার ক্রমবর্ধমান। আর এর মধ্যে দিয়েই দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলেই মনে করেন তিনি।
কূটনৈতিক মহলের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, সৌদি আরবের সঙ্গে ভারতের রাজনৈতিক সম্পর্ক বেশ ভালো। যুবরাজের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত রসায়নও খারাপ নয়।কিন্তু এত দিন দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে তার প্রতিফলন খুব একটা দেখা যায়নি। জ্বালানি থেকে কৃষি— বিভিন্ন ক্ষেত্রে সৌদি থেকে বিনিয়োগ টানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল নয়াদিল্লি। সম্প্রতি মোদির সৌদি সফরও বেশ তাত্পর্যপূর্ণ ছিল। সেই সফরে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হয়।মোদির সৌদি সফরের পরই সে রিয়াধের পক্ষ থেকে এমন একটা বড় ঘোষণা ভারতের কূটনৈতিক সাফল্য বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মোদীর আমলেই ভারতের সঙ্গে সৌদি আরবের কূটনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী হয়েছে বলে দাবি জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রকের এক আধিকারিক৷ কূটন্যতিক মহলের ধারণা, ইমরান কাশ্মীর নিয়ে সৌদিকে হাজার বোঝালেও তাদের পক্ষে ১৩০ কোটির ভারতের বিরোধিতা করা সম্ভব নয়৷ তাছাড়া সৌদি আরব আমেরিকার বন্ধু রাষ্ট্র৷ অন্যদিকে আবার আমেরিকার কাছের দেশ হিসাবে পরিচিত বারতও৷ তাই ইরান থেকে ভারতকে সরাতে সৌদি ভারতে বিনিয়োগ করতে চায় বলে মনে করে কূটনৈতিক মহলের একাংশ৷