মহানগর ডেস্ক: কেউই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ( Narendra Modi) কিংবা শচীন তেণ্ডুলকরের মতো এক নাগাড়ে সারাজীবন শাসন ( Administrator) চালাতে পারবেন না। প্রত্যেককে কখনও কখনও প্রত্যাখ্যানের মুখোমুখি হতে হয়। দ্রুত সাফল্য কখনও সম্ভব নয়। মনে রাখা উচিত রাতারাতি মোদী, শচীন বা আম্বানি হওয়া সম্ভব নয়। বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদ থেকে বিদায় নেওয়ার পর এই প্রথম নীরবতা ভাঙলেন (Saurav Breaks Silence) প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও বিসিসিআইয়ের সভাপতি। তাঁকে সরিয়ে রজার বিন্নিকে সভাপতি করার খবর চাউর হওয়ার পর এরকম ঝড় বয়ে গিয়েছে দেশের ক্রিকেট মহলে, বিশেষ করে বাংলায়।
সেই ঝোড়া আবহাওয়ায় সৌরভকে এদিন কলকাতায় দার্শনিক মন্তব্য করতে শোনা যায়। তিনি বলেন, কেউই মোদীর মতো সারাজীবন প্রশাসক হিসেবে থাকতে পারেন না। প্রত্যককেই কোনও কোনও সময় প্রত্যাখ্যাত হতে হয়। তবে বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদে থাকার সময়টুকু তিনি উপভোগ করেছেন। একজন ক্রিকেটার হিসেবে জীবন চালানো খুবই কঠিন। বোর্ডের সভাপতি থাকাকালীন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাফল্যের কথা তুলে ধরেও মহারাজার মন্তব্য, সারাজীবন তাঁর পক্ষে প্রশাসক হিসেবে থাকা সম্ভব নয়। তবে ক্রিকেটার হিসেবে তাঁকে কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। যদিও তিন বছর সভাপতি থাকার সময় ভারতের ক্রিকেটে একাধিক উন্নতি হয়েছে। কোভিডের কঠিন সময়েও তাঁর সভাপতিত্বে ক্রিকেট খেলার ব্যবস্থা করেছিলেন।
কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল রূপো জিতেছিল। বিদেশে ভারতীয় ক্রিকেট দল প্রচুর সাফল্য পেয়েছে। তবু কারো পক্ষে সারাজীবন ধরে প্রশাসক থাকা সম্ভব নয়। তবে এবার তাঁকে নতুন এক ভূমিকায় দেখা যাবে বলে এদিন বন্ধন ব্যাঙ্কের অনুষ্ঠানে জানান প্রিন্স অব ক্যালকাটা। তিনি একেবারে শূন্য থেকে শুরু করবেন। মানুষের জীবনে এমন একটা সময় আসে যখন তাঁকে শূন্য থেকে শুরু করতে হয়। এবারও তিনি একেবারে শূন্য থেকে শুরু করবেন। প্রসঙ্গত, সৌরভকে সরানো নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। তাদের অভিযোগ, সৌরভ বিজেপির ডাকে সাড়া দেয়নি বলে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ যখন দ্বিতীয়বারের জন্য সচিব পদে থাকছেন, তখন সৌরভের বিদায়ের পেছনে গেরুয়া রাজনীতি দেখতে পেয়েছে ঘাসফুল শিবির।