মহানগর ডেস্ক: অনেকদিন ধরেই তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিল না ( He Was Absent)। সভা কিংবা কোনও অনুষ্ঠানেও দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না। শাসকদলের বিরুদ্ধে কোনও আক্রমণও শোনা যায়নি তাঁর মুখে। জল্পনা শোনা যাচ্ছিল তিনি সম্ভবত দল ছেড়ে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে একরকম ভেসে উঠলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। দলের ডামাডোল নিয়ে বিজেপি দলের প্রধান জেপি নাড্ডাকে চিঠি লিখলেন সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু (Sayantan Alleges)। চিঠিতে ইঙ্গিত দিলেন দলে যা চলছে, তার সব কিছুই ভালো নয়। চিঠিতে সায়ন্তন লিখেছেন ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বিজেপিতে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে যোগ দেওয়া নেতাকে নিরাপদ পদ দেওয়া হয়েছে। অবহেলার শিকার হয়েছেন পুরনো কর্মীরা।
সায়ন্তন আরও জানিয়েছেন, বিজেপির এই ডামাডোলে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে হাওয়া নিজেদের পালে নিয়ে নিতে চলেছে সিপিএম। চিঠিতে তিনি লিখেছেন রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস পায়ের তলার মাটি হারাচ্ছে। এবং সিপিএম সেই সুযোগটা নিচ্ছে। বিজেপি সুযোগ নিতে পারছে না। দল একমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া সক্রিয়। যদি এমনটা চলতে থাকে, তাহলে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে লড়াই হবে। সায়ন্তন লিখেছেন বিরোধী দলনেতা যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করছে,তাতে মনে হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই হচ্ছে। জনগণের ধারণা একের পর এক নেতা বিজেপিতে আসবেন ইডি-সিবিআইয়ের হানা থেকে নিজেদের বাঁচানোর জন্য। প্রসঙ্গত, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের জন্য বিজেপিতে নতুন কোর কমিটি গঠনের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সায়ন্তন নাড্ডাকে এই চিঠি লিখলেন। নতুন কোর কমিটিতে চব্বিশ নেতাকে রাখা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী এবং মিঠুন চক্রবর্তী।