মহানগর ডেস্ক: বিরাম নেই পরিচালক সাজিদ খানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগের। সাম্প্রতিকতম অভিযোগ বলিউড অভিনেত্রী শার্লিন চোপড়ার (Sharlin Chopra Allegation) । শুধু যৌন হেনস্থাই নয়। অপরাধমূলক হুমকির (Criminal Infimidation) অভিযোগও এনেছেন বলিউড অভিনেত্রীর (Bollywood Heroin)। সাজিদের বিরুদ্ধে মুম্বই পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করেছেন শার্লিন। সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, এর আগে তাঁর মতো নামী মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর সাহস তাঁর ছিল না। মি-টুয়ের পর মহিলারা এগিয়ে এসেছেন। সাজিদের জেল হওয়া উচিত। শার্লিন জানান,তিনি সম্প্রতি মি-টুয়ে অভিযুক্ত সাজিদের বিরুদ্ধে যৌন শোষণ, অপরাধমূলক হুমকির অভিযোগ পুলিশের কাছে জানিয়েছেন। তারা জানতে চেয়েছিল প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৫ সালে। অভিযোগ জানাতে তিনি এত দেরি করেছেন কেন,পুলিশ তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিল।
শার্লিন জানিয়েছিলেন সাজিদের মতো বড় একটা নামের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর সাহস তাঁর ছিল না। ২০১৮ লাবে মি-টু মুভমেন্টের পর তিনি জানতে পারেন মহিলাদের ভয় ধরানো ঘটনা। যে কেউ-ই ওইসব সাক্ষাৎকার মিডিয়া বা সোশ্যাল মিডিয়া পড়ে জানতে পারবেন মি-টু অভিযুক্ত সাজিদ ওই মহিলাদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করেছিলেন। তাঁদের কারো কারোকে সেক্স নিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন। তারপর তাঁকে তাঁর পুরুষাঙ্গ দেখিয়ে সেটি ছুঁতে বলেছিলেন। এখন প্রশ্ন হল, একজন মহিলা এই ধরণের বিশ্রি ঘটনার পর বছরের পর বছর তাঁর যন্ত্রণা চেপে রাখতে পারেন। অবশ্যই পারেন। সেসময় তাঁর সাহস ছিল না। সাজিদই হোন বা রাজ কুন্দ্রা হোন, তাঁরা যদি ভুল কাজ করতে পারেন, তাহলে তিনিই প্রতিবাদে গলা তুলবেন না কেন। তবে সাজিদের বিরুদ্ধে প্রমাণ তাঁর কাছে ছিল না।
কারণ একজন পরিচালক বা প্রযোজকের সঙ্গে পেশাদার আলোচনার সময় তিনি কোনও স্পাই ক্যামেরা নিয়ে যাননি। শার্লিন অবশ্য জানান যদি পুলিশ তাঁর কাছে প্রমাণ চাইতো, সেক্ষেত্রে তিনি কি বলতে পারেন। এটা বিশ্বাসযোগ্যতা আর মর্যাদার প্রশ্ন। সাজিদ তাঁর থেকে অনেক নামী মানুষ। তিনি ফারাহ খানের ভাই,শাহরুখ খান,সলমন খানের ঘনিষ্ঠ। তাঁর কাছে তিনি অতি সামান্য। একজন বাইরের মানুষ। একজন কেউই না। সেক্ষেত্রে কীভাবে তিনি সত্যি প্রমাণ করবেন। ঘটনাটির কথা তিনি বন্ধুদের ও ঘনিষ্ঠ একজনকে বলেছিলেন। কিন্তু পরিবারের কাউকে মুখ ফুটে বলতে পারেননি। বাবা মারা গিয়েছেন। পরিবারের সবাই খুব শোকাচ্ছন্ন। তাঁদের এসব বলে আরও যন্ত্রণা বাড়াতে চাননি।
•