মহানগর ডেস্ক: উদ্ধব এখন পুরনো। মহারাষ্ট্রের নাথ একনাথ (Eknath Shinde)। গতকাল মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক রাহুল নরবেকর। তার একদিন পরে নতুন রাজ্য সরকার গঠনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ফ্লোর টেস্টের মুখোমুখি হয়েছেন শিণ্ডে। জানা গিয়েছে, ১৬৪ জন বিধায়কের সমর্থন পেয়েছে শিণ্ডে শিবির। উদ্ধবের সমর্থনে রয়েছেন গুটি কয়েক বিধায়ক। ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে ফেলেছেন একনাথ শিণ্ডে। জিততে প্রয়োজন ছিল ১৪৪ জন বিধায়কের সমর্থন।
সোমবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে সকাল ১১টা নাগাদ উপস্থিত হয়েছিলেন শিণ্ডে সমর্থিত বিধায়করা। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, সেনা বিদ্রোহী বিধায়কদের শিবিরে যোগ দিয়েছেন বিধায়ক সন্তোষ বাঙ্গার। এহেন পরিস্থিতিতে মসনদে নিজেদের অবস্থান পাকা করলেন একনাথ শিণ্ডে। এনসিপি-কংগ্রেস-উদ্ধব সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টায় এবার পুরোপুরি সফল হয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন : এক যুগের অবসান মারা গেলেন তরুণ মজুমদার
বিধান পরিষদে গেরুয়া শিবিরের কাছে হেরে ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন দলের অধিকাংশ বিধায়ক। তারপর গুয়াহাটির হোটেল থেকে বিজেপির সহায়তায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী আসনে বসেছেন শিণ্ডে। প্রথম থেকে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকটের জন্য বিজেপিকে দায়ী করে এসেছে বিরোধীরা। যদিও বা তারা তা মানতে চাননি। কিন্তু মহারাষ্ট্রের মহানাটকের প্রায় ৯ দিন পর সবটাই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে সকলের কাছে। গত সপ্তাহে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে জোট বেঁধে, মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন শিবসেনা থেকে বহিষ্কৃত একনাথ শিণ্ডে। উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। আজ বিধানসভায় বড় পরীক্ষায় পাশ করে গিয়েছে শিণ্ডে শিবির। ফড়ণবীশ বলেছেন, “বালাসাহেবের আদর্শের প্রতি অনুরক্ত থাকবে সব শিব সৈনিক। জয়ের জন্য সকলকে ধন্যবাদ”।