মহানগর ডেস্ক: গুয়াহাটি (Guwahati) ছাড়ছেন একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde)। জানা গিয়েছে, ৫ বিক্ষুব্ধ বিধায়ককে নিয়ে দেখা করতে পারেন রাজ্যপালের সঙ্গে। সূত্রের খবর, বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধতে পারে শিন্ডে শিবির।
২২ জুন থেকে বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে গুয়াহাটির হোটেলে থাকার পর, আজ মুম্বই ফিরছেন বিক্ষুব্ধ নেতা। ইতিমধ্যেই দিল্লি চলে গিয়েছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ। সূত্র অনুযায়ী, এই সপ্তাহেই হতে পারে আস্থা ভোট। অন্যদিকে দুপুর আড়াইটায় ক্যাবিনেট বৈঠকের ডাক দিয়েছে ঠাকরে শিবির। মূলত পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েই আলোচনা হবে বৈঠকে। সরকার টিকিয়ে রাখতে সর্বোত্তম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে শিবসেনা। এদিকে মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে পরিবর্তন ঘটাতে ব্যস্ত শিন্ডে শিবির।
বিধান পরিষদে বিজেপির কাছে হেরে উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন একনাথ শিন্ডে। গত ২২ জুন বুধবার থেকে গুয়াহাটির একটি পাঁচতারা হোটেলে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের নিয়ে ঘাঁটি গেড়ে ছিলেন শিন্ডে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সেখান থেকে বেরিয়ে মঙ্গলবার মুম্বই আসছেন তিনি। সূত্র অনুযায়ী, দিল্লিতে অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন ফড়ণবীশও। গোটা পরিস্থিতির বিচার-বিবেচনা করে অবশেষে মহারাষ্ট্রে পা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিক্ষুব্ধ নেতা।
আরও পড়ুন : অবশেষে সুপারন্যাচারাল কমেডি ফোন ভূতের পোস্টার প্রকাশ্যে
গতকাল শিন্ডে সহ বিদ্রোহী বিধায়করা শীর্ষ আদালতের নির্দেশে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। বিধায়ক পদ খারিজের মামলায় জবাবদিহির জন্য তাদের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। মনে করা হয়েছিল, এই সময়ের মধ্যেই কোনও একটা সিদ্ধান্ত নেবে শিন্ডে শিবির। গুয়াহাটির হোটেলের বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, “আমরাই প্রকৃত শিবসেনা”।
এখন সকলের নজর রয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের দিকে। এই বৈঠকের উপরই সমস্ত কিছু নির্ভর করছে। মহারাষ্ট্রের রাজনীতির গতিপ্রকৃতি সমস্তটাই পরিষ্কার হবে এই বৈঠকের পর। শিন্ডে জানিয়েছেন, ‘পরবর্তী পদক্ষেপের কথা দ্রুত জানানো হবে। প্রতিমুহূর্তে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে’। বরাবর ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, মহারাষ্ট্রের বর্তমান পরিস্থিতির পেছনে তাদের হাত নেই। যদিওবা বিরোধী দলগুলি তাদের দিকেই আঙুল তুলেছে। দেখার, আজকে নতুন কোন মোড় নেয় মারাঠা রাজনীতি।