মহানগর ডেস্কঃ রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল হিসেবে বুধবার শপথ নিয়েছেন সি ভি আনন্দ বোস। শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেননি তিনি। রাজভবনে তাঁর বসার ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সেই অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। রাজ্যপালের শপথগ্রহণ পর্বে উপস্থিত না থাকতে পারার বিষয়টি টুইটারে জানানও তিনি। সেখানে রাজভবনে বসার একটি ছবিও পোস্ট করেন শুভেন্দু। সেখানে দেখা গেছে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া দুই বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী এবং বিশ্বজিৎ দাসের আসন শুভেন্দুর আসনের পাশেই রাখা হয়েছে। সেখানে সকলের নাম রাখা হয়েছে চেয়ারে। টুইটে তিনি জানান তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুসারে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বিষয়টিকে ‘অসভ্য রাজনীতির লজ্জাজনক উদাহরণ’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
বুধবার রাজ্যপালের শপথ নেওয়ার পরেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দুপুর ১টা নাগাদ রাজভবনে পৌঁছন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সাক্ষাৎ ছিল নেহাতই সৌজন্যমূলক। সাক্ষাতের পরে রাজভবন থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, তিনি কোনও অভিযোগ জানাতে আসেননি। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আঙুল তোলেন শুভেন্দু। অভিযোগ করেন অরাজকতায় প্রশ্রয় দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। একাধিক বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন তিনি।
রাজ্যপাল পদে শপথ নেওয়ার পরেই প্রথম অভিযোগপত্র পেলেন সি ভি আনন্দ বোস। ঝালদা পুরসভায় প্রশাসক বসানোর চক্রান্ত হচ্ছে বলে তাঁকে চিঠি দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। বুধবার সকালে রাজ্যপালের শপথগ্রহণে অধীররঞ্জন নিজেও উপস্থিত ছিলেন না। চিঠিতে অধীর জানিয়েছেন, ঝালদা পুরসভায় আস্থাভোটে তৃণমূল বোর্ডের পতন হতেই কংগ্রেস কাউন্সিলরদের উপর অত্যাচার শুরু হয়েছে।