মহানগর ডেস্কঃ কৃষ্ণনগর লোকালের কাপলিং খুলে গিয়ে বিপত্তি শ্যামনগর স্টেশনে। ফলত পিছনের দিক থেকে আলাদা হয়ে গেল ট্রেনের পাঁচটি কামরা। রবিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ শ্যামনগর স্টেশনে ঘটল এমনই বিপত্তি। বন্ধ রইল দু’ নম্বর লাইনের ট্রেন চলাচল। দুর্ভোগে পড়লেন নিত্যযাত্রীরা।
দুর্ঘটনার পরে ট্রেনের পাঁচটি বগি অর্থাৎ প্রথম অংশকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ফলত বন্ধ হয়ে যায় শিয়ালদহ – কৃষ্ণনগর মেইন লাইনের ট্রেন চলাচল। রেল কর্মীরা দ্রুততার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টাও করেন। প্রথম অংশটিকে সরিয়ে রাখা হয় ব্যারাকপুর স্টেশনে। অন্য অংশগুলিকেও সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজও চলে।
বিগত জুলাই মাসে হাওড়ার আবাদা স্টেশনে একইরকম ঘটনা ঘটে। কাপলিং খুলে গিয়ে ভয়ংকর বিপত্তি ঘটে ট্রেনে। ডাউন উলুবেরিয়া লোকাল আবাদা স্টেশন থেকে বেরোনোর পরেই খুলে যায় দুটি বগির কাপলার। আতঙ্কে চিৎকার শুরু করে দেন যাত্রীরা। ট্রেন থামিয়ে দেওয়া হয় তৎক্ষণাৎ। তবে বড়সড় বিপত্তির হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেন সহ যাত্রীরা।
রবিবার শ্যামনগর স্টেশনে এমন বিপত্তি ঘটার পরেই প্রশ্ন উঠেছে রক্ষণাবেক্ষণের বিষয় নিয়ে। যদিও বিষয়টি নিয়ে ইঞ্জিনিয়াররা রক্ষণাবেক্ষনের ত্রুটিকে প্রাধান্য দিতে নারাজ। তাঁদের দাবি, নতুন কাপলিং আনার পরে তাতে বিশেষ পদ্ধতিতে টান দিয়ে ক্ষমতা পরীক্ষা করার নিয়ম থাকলেও তা সবসময় করা হয়না। ফলত এই ধরণের বিপত্তি ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।