নিজস্ব প্রতিবেদক, শিলিগুড়ি: পুরনো টোটোতেই স্থায়ী নম্বর দিতে হবে। সরকারী নির্দেশিকাকে সামনে রেখে জোর করে টোটো বদল করা যাবে না। মঙ্গলবার এমনই দাবি তুলে ধরে প্রতিবাদে সরব হলেন টোটো চালক ও মালিকেরা। পাশাপাশি তারা বিক্ষোভ প্রদর্শনের মাঝেই ভাঙচুর চালালেন জেলা পরিবহন দপ্তরের অস্থায়ী কার্যালয়ে। অস্থায়ী কার্যালয়ের বাইরে থাকা বেসরকারী টোটো কোম্পানিগুলির অস্থায়ী কাউন্টারেও ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনার জেরে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন হয় শিলিগুড়ি থানার পুলিশ সহ শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের এসিপি ইষ্ট।
জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি পুরনিগমের তরফে শহরে চলাচল করা টোটোগুলিতে টিন নম্বর দেওয়া হয়েছিল তাদের সহজে শনাক্তকরণ ও নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে পরিবহন দপ্তরের তরফেও স্থায়ী নম্বর দেওয়া হবে শহরে চলাচল করা টোটোগুলিতে। সেক্ষেত্রে পুরনো টোটো বদল করে নিতে সরকারী নিয়ম মেনে নিতে হবে নতুন টোটো। এই নির্দেশিকা জারি হবার পরই চলতি মাসের শুরু থেকেই বুকিং প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। টোটো চালকেরা পুরনো টোটো নথি সহযোগে পরিবহন দপ্তরের হাতে তুলে দিচ্ছে। বিনিময়ে মোটের ওপর ১৫ হাজার টাকা পাচ্ছেন তারা। এদিকে পুরনো টোটো সরকারের কাছে জমা করার পর মিলবে নতুন টোটো। যেগুলির দাম আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকা। সেক্ষেত্রে টোটো চালক ও মালিকদের অভিযোগ, আমাদের টোটো এখনও অচল হয়নি। তার আগেই জোর করে টোটো বদল করানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে অলিখিত কাটমানির অভিযোগ তুলে ধরেছেন চালক থেকে শুরু করে মালিকেরা।
টোটো চালক রানা ঘোষ বলেন, আমাদের কারও টোটো আট মাস তো কারও সবে বছর ঘুরেছে। এমতবস্থায় নির্দেশকা জারি করে টোটো বদল করা হচ্ছে। অন্যদিকে, আমাদের টোটো জমা দিলে মিলছে মোটের ওপর ১৫ হাজার টাকা। কিন্তু আমরা যখন একই টোটো নতুনভাবে নেব তখন আমাদের দিতে হবে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। সেক্ষেত্রে আমরা চাই পুরনো টোটোতেই স্থায়ী নম্বর দিতে হবে। জোর করে অন্যায়ভাবে টোটো বদল করানো যাবে না।’ এবিষয়ে শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক সুমন্ত সহায় বলেন, ‘বিষয়টি শুনলাম মাত্র। খোঁজ নিয়ে দেখছি কি হয়েছিল। তারপরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’