মহানগর ডেস্ক: শুক্রবার বিধানসভায় পালিত হয় সংবিধান দিবস। তারই মাঝে একসময়কার তার দলীয় বিধায়ক তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে চায়ের আমন্ত্রণ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বিশেষ বার্তা পাঠান শুভেন্দুর বাবা তথা তৃণমূলের প্রতীকে জিতে সাংসদ হওয়া শিশির অধিকারী। বিধানসভায় শুক্রবার মমতা বলেছিলেন, ‘শিশিরদাকে সম্মান করি।’ এর জবাবে এবার শিশিরবাবু সংবাদমাধ্যমকে বললেন, ‘তিনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ভালো থাকুন।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার শুভেন্দুকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনি এক সময়কার কংগ্রেস ও পরে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ছিলেন। আপনার বাবাও একজন তৃণমূলের সিনিয়র নেতা, তাঁকে আমি সম্মান করি।’ এই আবহেই এক বাংলা সংবাদের চ্যানেলকে শিশিরবাবু বলেন, ‘তিনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ভালো থাকুন।যেটা ভালো মনে করেছেন, তিনিই সেটাই বলেছেন।’
আবার এদিকে শুভেন্দু নাকি পুরনো দিনের মতো মমতাকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছেন শুক্রবার। এর পর মুখ্যমন্ত্রীও বলেন, ‘অনেক দিন পর, এত কাছে এলি। তোর শরীর কেমন? বাবা কেমন আছেন?’ আবার বিরোধী দলনেতাকেও একেবারে ভাই বলে সম্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, শুভেন্দুর বক্তব্যের সময় তৃণমূল বিধায়কদের বাধা বাধা প্রদানে বিরত থাকার নির্দেশ দেন। আর এমনই বিরল সৌজন্যের সাক্ষী থাকল রাজ্য বিধানসভা।
যদিও সূত্রের খবর বলছে, শুক্রবার বিরোধী দলনেতার সামনেই বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ীকে মন্ত্রিত্বের প্রস্তাবও দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘তৃণমূলে চলে আসুন, আপনাকে অর্থমন্ত্রী করে দেব।’ এর প্রেক্ষিতেই শুভেন্দু একবার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব রাখেন।
এদিকে সৌজন্য সাক্ষাৎকারের পর, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু জানান, এই সাক্ষাৎ নিছক সৌজন্য। এর মধ্যে অন্য কিছু নেই, আমরা সবাই বিধায়ক, তিনি মুখ্যমন্ত্রী, তিনি ঠিক থাকলে আমরাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।’ মমতাও বলেন, ‘সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য ডেকেছিলাম। যাতে সবাই মিলে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে পারি, ওরা এসেছে আমার ভালো লেগেছে।’