মহানগর ডেস্কঃ ফের বিনোদনের জগতে নক্ষত্রপতন। প্রয়াত অভিনেত্রী সোনালী চক্রবর্তী। দীর্ঘদিন ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। সোমবার ভোর চারটে পাঁচ নাগাদ শহরের একটি সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর মৃত্যুর খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় নিশ্চিত করেন তাঁর স্বামী অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তী।
বহুদিন ধরেই থিয়েটারের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন সোনালী চক্রবর্তী। পাশাপাশি ছোট এবং বড় পর্দার অভিনয়েও তিনি ছিলেন সমান সাবলীল। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে শঙ্কর চক্রবর্তী এবং সোনালী চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় ‘বরিশালের বর কলকাতার কনে’ রবিবারের দুপুরে মানুষের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ছিল। অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই তাঁকে আর অভিনয় করতে দেখা যায়নি। সম্প্রতি গাঁটছড়া নামক একটি ধারাবাহিকে আবার কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। সে খবর নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি। তবে খুব বেশিদিন সেই শুটিং করতে পারেননি তিনি। শারীরিক কারণে সেই শুটিং বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন তিনি।
অভিনেত্রী সোনালী চক্রবর্তীর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা টলিপাড়া। অভিনেতা অশোক মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পিএলটিতে অভিনয় করা কালীন সোনালী চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর প্রথম আলাপ। একজন অত্যন্ত ভাল মানুষ এবং অত্যন্ত ভাল অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। খবর পেয়ে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত বলে জানান। তাঁর গোটা পরিবার এই শোক সামলে ওঠার মানসিক জোর পান, এই প্রার্থনাই তিনি করেন।
অভিনেত্রী এবং সমাজকর্মী পাপিয়া সেন জানান, সোনালী চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর কাজ করার সুযোগ হয়নি কখনও। তবে তাঁর পরিচয় ছিল । তিনি জানান, ‘সোনালী চক্রবর্তী মানেই দাদার কীর্তি, সোনালী মানেই মিষ্টি স্বভাব’। তিনি আরও জানান, বয়ঃজ্যেষ্ঠের কাছে তাঁর অনুজের চলে যাওয়া অত্যন্ত মর্মান্তিক। তবে অভিনেত্রী যেখানেই যান, সেখানে যেন তিনি ভাল থাকেন সেইটাই তাঁর চাওয়া।
অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় জানান, সোনালী চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত কম। তবে শঙ্কর চক্রবর্তীর স্ত্রী হওয়ার সুবাদে তাঁদের দেখা হয়েছে বহুবার। ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সোনালী চক্রবর্তী তাঁর মনে পড়ে দাদার কীর্তির নাচ, মা দুর্গার মত মুখ। লোকনাথ সিরিয়ালে অভিনয় করার সময়ে ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয়ের প্রশংসা তিনি করেন। তাঁর অভিনয়ের নিয়মিত দর্শক ছিলেন সোনালী চক্রবর্তী এমনটাই জানান ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়।