মহানগর ডেস্ক: বাদল অধিবেশনের ((Monsoon Session) দ্বিতীয় দিনে উত্তপ্ত সংসদ চত্বর। দুপুর দু’টো পর্যন্ত লোকসভার অধিবেশন স্থগিত রেখেছেন ওম বিড়লা। প্রত্যেক জিনিসের উপর কেন্দ্রের জিএসটি বসানোয় প্রতিবাদে নেমেছে হাত শিবির (Congress)। অধিবেশন শুরুর আগেই বিক্ষোভ শুরু করে কংগ্রেস। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান রাহুল গান্ধী সহ অন্যান্য নেতা-নেত্রীরা। মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে হাত শিবিরের বিক্ষোভে উত্তাল সংসদের ভিতর ও বাহির। অধিবেশন স্থগিত রাখতে বাধ্য হন স্পিকার। আপাতত দুপুর দু’টো পর্যন্ত অধিবেশন স্থগিত রাখা হয়েছে।
জিএসটি কাউন্সিলের প্রস্তাব মেনে প্যাকেটবন্দি চাল, ডাল, আটা, মুড়ি, দই সহ দৈনন্দিন জীবনে জরুরি সমস্ত খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে গতকাল থেকে। কারণ এই সমস্ত পণ্যতে এবার থেকে বসবে GST। এই মর্মে এবার আন্দোলনের ডাক দিল কংগ্রেস। বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের ইস্যুতে ধরনায় নেমেছে হাত শিবির।
একদিকে ডলার প্রতি টাকার দাম ৮০ ছুঁয়েছে। অন্যদিকে প্যাকেটবন্দি খাবারে ৫ শতাংশ জিএসটি বসানো হয়েছে। যেই তালিকায় রয়েছে রোজগার হেঁসেলের পণ্য। সেইসঙ্গে বেড়েছে হাসপাতালের খরচ। ৫ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের কেবিনেও এবার থেকে দিতে হবে ৫ শতাংশ কর। এমনকি ১ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়ার হোটেলের ঘরেও চাপানো হয়েছে ১২ শতাংশ কর। তাই নিয়ে মঙ্গলবার সংসদের দুই কক্ষে সরকার বিরোধী স্লোগান দিয়েছে বিরোধীরা।
প্রসঙ্গে গৌরব গগৈ বলেন, খাদ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে সরাসরি সাধারণ মানুষের রোজকার জীবনে কোপ বসাচ্ছে কেন্দ্র। অধিকাংশ জরুরী জিনিসের দাম বেড়ে গিয়েছে। কোভিডের কারণে একেই বিপর্যস্ত ছিল গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্তের আর্থিক পরিস্থিতি। এবার তা আরও খারাপের দিকে এগোচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জিএসটি কাউন্সিলের প্রস্তাবে গতকাল থেকে কর বসানো হয়েছে সাধারণ মানুষের রোজকার জিনিসপত্রে। আর তাতেই আজ কেন্দ্রের শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে বিরোধীপক্ষ।