মহানগর ডেস্ক: আলোর উৎসবে মেতেছে বাঙালি। আর এই উৎস ঘিরে বাঙ্গালীদের মধ্যে চল রয়েছে কালী পূজার। তার পাশাপাশি ভাই বোনের পবিত্র বন্ধনকে এক সুঁতোয় বাঁধতে রয়েছে ভাইফোঁটা উৎসব। সেই ভাইদের পাত ভরাতে বোনেরাও কিন্তু রকমারী মিষ্টির খোঁজে বেরিয়ে পড়েন। এবার সেই ভাইদের কথা মনে করে পাতে পাতে বাজি তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন ভবানীপুরের ঐতিহ্যশালী মিষ্টি ব্যাবসায়ী বলরাম মল্লিক ও রাধারমন মল্লিকের কারিগররা। দীপাবলিতে শহরবাসীর জন্য তাদের উপহার ‘বাজি মিষ্টি’ (crackers sweet)।
দীপাবলি ঘিরে বাঙ্গালী অবাঙালি, ৮ থেকে ৮০ প্রত্যেকের হাতে থাকে একটা বাজির থলে। প্রকাণ্ড শব্দ থেকে আলোর রোশনাইয়ে ভরে যায় আকাশ বাতাস। সেগুলি ফাটানোর চক্করে অজান্তেই পরিবেশের পিণ্ডি চটকায় বেশিরভাগ অসচেতন মানুষ। কিন্তু এবার সেই কথা ভেবেই কলকাতা হাইকোর্ট বাদ শেনেছে অন্যান্য বাজার চলতি সমস্ত শব্দবাজি ফোটানোর উপর। সেই জায়গায় বাজি ফাটানোর হলে পরিবেশ বান্ধব সবুজ বাজি ফাটানোর নির্দেশ দিয়েছেন। রয়েছে পরিবেশবিদদের হুশিয়ারি ও পুলিশ প্রশাসনের কড়া নজরদারি। কিন্তু কালীপুজতে সেই বাজি ফাটানোর রীতিকে ভাইফোঁটার সঙ্গে মিলিয়ে দিয়ে এবার হাতে নয় মিষ্টি রূপে বাজি পাতেই তুলে দিতে উদ্যোগী হয়েছেন সংস্থার কর্ণধার সুদীপ মল্লিক। তিনি জানিয়েছেন, বাজির আদলে তৈরি মিষ্টিগুলোতে থাকছে চকলেটের স্বাদ, সেই সঙ্গে মিষ্টি ভরা বাক্স গুলিও এমন ভাবে বানানো হয়েছে যার সাথে বাজির বাক্সের কোনও পার্থক্য নেই। তাঁর আরও সংযোজন, বিশেষত বাচ্চারা এই মিষ্টি বেশি পছন্দ করে তবে ভাইফোঁটার পাশাপাশি দীপাবলি উৎসবকে মাথা রেখে অনেক বড়রাও নিজেদের খাওয়া কিংবা আত্মীয় পরিজনদেরকে উপহার দিতে এই বাজি মিষ্টির কিনছেন। তবে এর সঙ্গে দীপাবলী উপলক্ষে বিশেষ চাহিদা রয়েছে খাঁটি স্বরের তৈরি স্বরলিপি মিষ্টি।
এই স্বরলিপি মিষ্টি কিন্তু বেশ পছন্দের সবার প্রিয় বুম্বা দার। তিনি এই দোকানের মিষ্টি ছাড়া উৎসবকে ভাবতেই পারেন না। এদিন দেখাও গেছে দোকানে দাঁড়িয়ে একের পর এক এই মিষ্টি খেয়ে চেখে দেখতে। মন ভরতেই বাড়ির জন্য নিয়ে গেলেন প্যাকেট প্যাকেট মিষ্টি। এমনকি দীপাবলি মিষ্টিতে মন মজেছে লোপামুদ্রা ভট্টাচার্য এর। তাঁর বক্তব্য, তিনি এ পাড়ারই মেয়ে, তাই শুধুমাত্র বিশেষ কোনও উৎসব নয়। বাড়িতে মিষ্টি আসা মানেই বলরাম মল্লিক ও রাধারমণ মল্লিক। আর বিয়ের সূত্রে এখন ঠিকানা শ্যামবাজার হওয়ায় ভবানীপুর থেকে ফেরার পথে এই মল্লিক দোকানের মিষ্টি ভর্তি প্যাকেট ছাড়া শ্বশুরবাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ। আর এবারের হরলিক্স স্পেশাল দীপাবলির মিষ্টি সম্ভার দেখে তিনি বেশ খুশি।