মহানগর ডেস্ক: চোর না মহা চোর ? নাকি তার চেয়ে আরও ভয়ানক কিছু? এই ঘটনার কথা জানলে সেরকমই মনে হবে। কারণ এতদিন অনেকরকম চুরির কথা সবাই শুনেছে। এবার ট্রেনের আস্ত ইঞ্জিন (Stealing Of Rail Engine) চুরির কথা জানতে পেরে মাথায় হাত রেল পুলিশের। বারবার মাথা চুলকেও কোনও দিশা করতে পারছে না তারা। বিহারের (Bihar) বেগুসরাই জেলার গরহারা রেলস্টেশনে মাটির নীচে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে গোটা ইঞ্জিনই হাপিস করে দিয়েছে একদল ইঞ্জিন চোর। তা চুরি করে যেখানে মেরামতি করা হয়, সেখানকার ইয়ার্ডে একটার পর একটা করে ইঞ্জিনের টুকরো রেখেছিল তারা। মুজফ্ফরপুরের আরপিএফ জানিয়েছে এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গরহারা রেলইয়ার্ডে মেরামতের জন্য নিয়ে আসা ইঞ্জিন চুরির দায়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে রেলপুলিশ।
তদন্ত চালাকালীন ধৃত তিন চোর জানায় তারা রেলইয়ার্ড পর্যন্ত সুড়ঙ্গ খুঁড়েছিল যাতে বস্তায় পুরে ইঞ্জিনের টুকরো ও অন্যান্য জিনিস নিয়ে এসেছিল। জেরায় তারা এক স্ক্র্যাপ গুদামের মালিকের কথা জানায়। তাদের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে মুজফ্ফরপুর জেলার প্রভাতনগরে এক স্ক্র্যাপ গোডাউনে হানা দেয় রেলপুলিশ। সেখান থেকে তেরোটি বস্তায় পোরা ইঞ্জিনের টুকরো ও যন্ত্রপাতি উদ্ধার করে। উদ্ধার করা জিনিসগুলির মধ্যে রয়েছে ইঞ্জিনের যন্ত্র, পুরনো রেলের ইঞ্জিনের চাকা ও ভারী লোহার তৈরি রেলের যন্ত্রপাতি। পুলিশ জানিয়েছে এই চক্রটি সেতুর নাটবল্টু খোলা চুরিতে জড়িত। সেগুলি চুরি করে তারা চোরাগোপ্তাভাবে বিক্রি করতো। গত বছর সমস্তিপুর লোকো ডিজেল শেডের এক রেল ইঞ্জিনিয়ারকে পুরনো একটি স্টিম ইঞ্জিন বিক্রির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়। অভিযুক্ত সাসপেন্ডেড ইঞ্জিনিয়ার ডিভিশনাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের চিঠি জাল করে অন্যান্য রেল অফিসার ও নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে যোগসাজশে বিক্রি করতেন বলে জানা গিয়েছে।