মহানগর ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে ততই যেন পৃথিবী জুড়ে স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ছে। প্রতিবছর না হলেও হাজার হাজার লোক মারা যায় স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে। আর আগে মূলত রবির নাগরিকদের মধ্যেই চোখে ঝুঁকি বেশি দেখা যেত। কিন্তু গত কয়েকবছরে সেই গ্রাফটা একেবারে পাল্টে দিয়েছে একটি সমীক্ষা। কমবয়সিদের মধ্যেও বাড়ছে এই রোগের প্রবণতা।
সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, ২৫ বছরের বেশি বয়সিদের মধ্যে শতকরা এক জন করে স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। মূলত বিভিন্ন কারণে ধমনীর পথ সরু হয়ে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন কমিয়ে দেয়। একসময় আচমকা চর্বির অংশ আটকে রক্ত চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেলেই মস্তিষ্কের কোষ অক্সিজেনের অভাবে ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এভাবেই দেখা দেয় ব্রেন স্ট্রোক। কিন্তু সঠিক সময়ে এই রোগের চিকিৎসা শুরু না করলে কখনো রোগীর পক্ষঘাতে সংক্রামিত হন আবার অনেক সময় এই স্রোতের ঝুঁকি মৃত্যুমুখে পৌঁছে দেয় রোগীকে। তাই এই নিয়ে বিশেষ সতর্কতা তৈরির প্রয়োজন।
তবে সবার আগে স্ত্রোক কেন হয় সে নিয়ে একটি সম্মক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। আর চিকিৎসকরা এই স্ট্রোকের কারণ হিসেবে আমাদের বদঅভ্যাসকেই দায়ী করেছেন।কারণ এগুলি অত্যন্ত পরিমাণের স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। বাড়িয়ে দেয়।
১) অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: সঠিক খাদ্যাভ্যাস স্ট্রোকের ঝুঁকি ৮০ শতাংশ কমাতে পারে। কিন্তু আমাদের অজান্তে অতিরিক্ত লবণ, চিনি কিংবা স্নেহপদার্থ যুক্ত খাবার খাওয়া এই স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ, কোলেস্টেরলও এর জন্য দায়ী। তবে যাঁরা আগে থেকেই এমন ঝুঁকি সম্পন্ন, তাঁদের ডিমের কুসুম ও মাংস খাওয়া অস্বাস্থ্যকর।
২) অলসতা: পর্যাপ্ত শরীরচর্চা না করলে কিংবা সারাদিন শুয়ে বসে অলস জীবন যাপন কাটালে ডেকে আনে এই রোগ। কারণ এর ফলে পেশি ও হাড়ের সক্ষমতা কমে যায়। শুধু তাই নয়, বিপাক অর্থাৎ হজমের ক্ষেত্রেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
৩) ধূমপান: নিকোটিন শরীরের প্রবাল ক্ষতি করে। পরোক্ষ ধূমপানেও প্রবল ক্ষতি হয় শরীরের। এদের কাজই রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে দেওয়া। যার ফলে ফুসফুসের পাশাপাশি ক্ষতি হয় সংবহনতন্ত্রেরও।
৪) অতিরিক্ত মদ্যপান: যে সমস্ত ব্যক্তি নিয়ম করে জলের মতন মদ্যপানে আসক্ত, তাদের রক্তচাপের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। কারণ অ্যালকোহলের কাজ শিরা ও ধমনীর স্থিতিস্থাপকতাকে নষ্ট করা। যা স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ।
৫) সচেতনতা: তবে উপরের এই ৪ কারণ ছাড়াও স্ট্রোকের অন্যতম কারণ হল চূড়ান্ত অসচেতনতা। কারণ আমি কি রয়েছেন সবকিছু জেনে বুঝেও নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি দিনের পর দিন অবহেলা করেন। একসময় ঘটে যায় দুর্ঘটনা।