মহানগর ডেস্ক : বর্ষিয়ান পরিচালক সুভাষ ঘাই। যার অন্যতম জনপ্রিয় ছবি পরদেশ এ বছর ২৫ বছরে পা দিল। এই ছবির মধ্যে দিয়েই মহিমা চৌধুরীকে দর্শকদের সামনে এনেছিলেন সুভাষ। শাহরুখ-মহিমার এই রোমান্টিক ছবি আজ ও দর্শকদের মনে গেঁথে। সম্প্রতি লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন সুভাষ ঘাই। কয়েক প্রজন্ম ধরে তাঁর অপরিসীম পরিশ্রম এবং গল্প বলার ধরন মন কেড়েছে দর্শকদের।
এক সাক্ষাৎকারে সুভাষ জানিয়েছেন তিনি চান তার ছবিগুলো আবার নতুন করে তৈরি হোক। তবে তার দায়িত্ব নিজে নিতে নারাজ সুভাষ। বর্ষিয়ান পরিচালক জানিয়েছেন,’ ছবি তৈরি করতে সবথেকে শক্ত কাজ হল চরিত্র বাছা। কাকে কোন চরিত্রে একদম সঠিক লাগবে এটা বোঝা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয় দর্শকরা তাকে কতটা গ্রহণ করবে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন আমি অর্জুন হিসেবে বেছে ছিলাম শাহরুখকে। দর্শকরাই একটা ভীষণ পছন্দ করেছিল। তাই আমি সবসময় চরিত্র নির্মাণের জন্য একটু বেশি গুরুত্ব দিয়ে। তবে আমার তৈরী ছবিগুলো প্রায় গোল্ডেন জুবিলি পেরিয়ে গিয়েছে। আমি চাই আমার ছবিগুলো নিয়ে নতুন করে তৈরি হোক। তবে সেগুলো আমার হাত দিয়ে নয়। অন্য কেউ ইচ্ছে হলে বানাতে পারে। আমি চাই এক ঝাঁক নতুন গল্প সামনে আনতে’।
এছাড়াও বলিউডে নারীকেন্দ্রিক ছবি নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। জানান বর্তমানে বলিউডে মহিলাদেরকে কেন্দ্র করে যে সমস্ত ছবি তৈরি করা হচ্ছে সেগুলো ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তবে তার অধিকাংশ কয়েক বছর আগে আমি নিজের ছবিতে রূপ দেবার চেষ্টা করেছিলাম। যেমন খলনায়কে মাধুরী দীক্ষিতকে পুলিশ অফিসার হিসেবে, মহিমা চৌধুরীকে কুসুম গঙ্গা হিসেবে পরদেশ ছবিতে। আমি সব সময় বিশ্বাস করি ছবিতে মহিলাদের চরিত্র ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। যেমন তাল, ইয়াদে এই ছবিগুলোতে মহিলাদের বিভিন্ন জার্নির কথা তুলে ধরা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সেভাবে বিনোদন জগতের সঙ্গে দেখা যায়না সুভাস ঘাইকে। সাত বছর আগে তৈরি করেছিলেন কাঞ্চি। তারপর আর পরিচালনার আসলে দেখা যায়নি তাকে। সেই প্রসঙ্গে জানান, ‘আমি চাই যখন একটা গল্প তৈরি হবে সেটা সময় কেন্দ্রিক হবে। তারকা দিয়ে হবে কি হবে না পরের ব্যাপার। আসল গুরুত্ব দিতে হবে গল্পকে এবং নতুন প্রজন্ম কী ভাবছে সেটাকে’।