মহানগর ডেস্কঃ চিনি রফতানির উপর নিয়ন্ত্রণ আরও এক বছর বহাল রাখল কেন্দ্র। গত মে মাসে চিনি কলগুলি থেকে ব্যপক হারে চিনি রফতানি করা হয়। এদিকে দেশীয় বাজারে চিনির দাম বাড়তে থাকে হু হু করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রক রফতানির পরিমাণকে ১ কোটি টনে বেঁধে দিয়েছিল। পাশাপাশি সরকারি অনুমোদন ছাড়া চিনি রফতানি করা যাবে না, এমন নিষেধাজ্ঞাও জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার।
এই নির্দেশ গত ১ জুন থেকে কার্যকর করা হয়। এই মেয়াদ প্রাথমিক ভাবে ছিল চলতি বছরের ৩১ তারিখ পর্যন্ত। তবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সেই মেয়াদ বাড়িয়ে আরও এক বছর করা হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রকের অধীনে ‘ডাইরেক্টরেট অব সুগার’ এই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে কার্যকর করেছে। রফতানির জন্য এই ডাইরক্টেরেটের অনুমোদনই প্রয়োজন। গত সপ্তাহের শুক্রবার প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে রফতানি নিয়ন্ত্রণের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত চালু রাখল কেন্দ্রীয় সরকার।
চলতি বছরেও রেকর্ড চিনি উৎপাদনের সম্ভাবনা। তা সত্ত্বেও দেশের বাজারে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্রীয় সরকারের এমন নিষেধাজ্ঞা বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। আগামী বছরের পরেও এই একই নিষেধাজ্ঞা জারি রাখতে পারে কেন্দ্র সরকার, এমনটাও মনে করা হচ্ছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ভারতের চিনি রফতানি ৫৭ শতাংশ বেড়ে ১০৯.৮ লক্ষ টনে পৌঁছেছিল। বিশ্বের বৃহত্তম চিনি উৎপাদনকারী এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনি রফতানিকারক দেশ হয়ে উঠেছিল ভারত। তাতে চিনিকলগুলির লাভ বাড়লেও, সমস্যায় পড়েছিলেন দেশীয় ক্রেতারা। সেই কারণে কেন্দ্রীয় সরকারকে হস্তক্ষেপ করতেই হয়। তারই ফলশ্রুতি গত মে মাসের বিজ্ঞপ্তি। ফের চিনি রফতানির নিষেধাজ্ঞায় বাড়ল এক বছরের মেয়াদ।