মহানগর ডেস্কঃ চিনির দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকায় গত মে মাস থেকেই চিনির রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়তে পারে বলেও কানাঘুষো শোনাও যাচ্ছিল। দেশে আভ্যন্তরীণ চিনির সরবরাহ এবং চিনি কলগুলির আয়ের কথা চিন্তা করে সেই নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেন্দ্র। পরিস্থিতির পর্যালোচনার পরে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে ২০২২-২৩ মরসুমে মোট ৬০ লক্ষ মেট্রিক টন চিনি রফতানি করা যাবে।
চলতি মাসের পয়লা তারিখ থেকে এই নতুন নিয়ম কার্যকর হয়েছে। দেশের সমস্ত চিনিকলগুলোকে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেন ট্রেড এবং কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে চিনি রফতানির আইনের পরিবর্তন হবে বলে সূত্রের খবর।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে যে প্রশ্নটা সাধারণ মানুষের মনে ঘুরেফিরে আসছে তা হল, ফের বাজারে চিনির দাম কি বাড়তে চলেছে? সমীক্ষা বলছে গত মে মাসে চিনিকলগুলি রেকর্ড পরিমাণ পণ্য রফতানি করায় দেশের বাজারে চিনির দাম হু হু করে বাড়তে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় সরকার বাধ্য হয় চিনি রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা বাড়াতে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দেশীয় বাজারে চিনির সরবরাহ অক্ষুণ্ণ থাকার বিষয়টা নিশ্চিত করার পরেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাজেই দাম বাড়া নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করার কোনও কারণ নেই বলেই জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, নাগরিকদের জন্য ২৭৫ লক্ষ মেট্রিক টন চিনি মজুত করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। পাশাপাশি জানান হয়েছে, ৬০ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত চিনি বিদেশে রফতানি করা যাবে। আগে ৫০ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত চিনি বিদেশে রফতানি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
চলতি মরসুমে রেকর্ড চিনি উৎপাদনের সম্ভাবনা। চিনিকলগুলির তরফে জানানো হয়েছে, আগামী মরসুমে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানির জন্য ৮০ লক্ষ টনের মত চিনি উদ্বৃত্ত হবে।