মহানগর ডেস্কঃ বাংলাদেশের বাজার থেকে হঠাৎই উধাও ‘চিনি’। সরকার নির্ধারিত নতুন দাম অনুযায়ী খুচরো বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ৯৫ টাকার বিক্রি হওয়ার কথা। তবে বাংলাদেশের বাজারের অন্য পরিস্থিতি। বেশিরভাগ জায়গাতেই ‘চিনি’ নেই। যদি বা পাওয়া যায় সেখানের দাম ১০০ টাকার বেশি। ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার দেখা দিয়েছে চিনির সংকট। সেখানের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে চিনির আমদানি কম। তাই দোকানে চিনি পাওয়া যায়।
ঢাকার দোকানদারেরা জানান, চিনির দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁদের আরও বেশি দামে চিনি কিনতে হয়েছে। এখন সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করলে তাঁদের ক্ষতি হবে। বেশি দাম নিলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর জরিমানা করছে। সেই কারণে তাঁরা চিনি বিক্রি করছেন না।পাশাপাশি দোকানদারদের দাবি, পাইকারি বাজার থেকে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। চিনির সরবরাহ কম বলে চিনির সংকট দেখা দিচ্ছে। বেশি দামে বিক্রি করলে জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এই কারণে অনেকেই চিনি বিক্রি করা বন্ধ বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
বাজারে চিনি যে কম তা মেনে নিয়েছেন, ভোক্তা অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের আধিকারিকেরা। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, বাংলাদেশে চিনির যে চাহিদা তা স্থানীয় উৎপাদন নিয়ে মেটানো সম্ভব নয়। চিনি ওই দেশে আমদানিই করতে হয়। ডলারের দামের কারণে এখন চিনির আমদানি কমেছে বলে জানানো হয়েছে আধিকারিকদের তরফে। তবে খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান করা যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন আধিকারিকেরা।