মহানগর ডেস্কঃ বুধবার দলীয় সভা থেকে বিরোধীদের ‘সেঁকে’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মণ্ডল। এক সময়ের তাঁর সহযোদ্ধা পাশাপাশি প্রাক্তন স্বামী সৌমিত্র খাঁকেও নাম না করে বুধবার বাঁকুড়ার জনসভা থেকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি সুজাতা।
এদিন সুজাতা মণ্ডল দাবি করেন, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা সবসময়েই উজ্জীবিত থাকেন। তাঁরা কখন, কাকে সেঁকবে বলা যায় না। পাশাপাশি তিনি জানান, বিজেপি-র বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরের প্রার্থীরা ফের ভোটে দাঁড়ালে তৃণমূল তাঁদের ওয়াশ আউট করে দিতে প্রস্তুত বলেও সৌমিত্র খাঁকে নাম না করে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। একইসঙ্গে নাম না করে সৌমিত্র খাঁকে ‘ধান্দাবাজ’ বলেও কটাক্ষ করতে শোনা যায় তাঁকে।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকেন সুজাতা মণ্ডল। তিনি জানান, তাঁদের দলের কর্মীদের কাছে হাতা-খুন্তি, আগুন সবকিছুই রয়েছে। কেউ বেশি দাদাগিরি করতে এলেই তাঁকে সেঁকতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি দাবি করেন বাঁকুড়া – বিষ্ণুপুরে বিজেপি কোনও কাজই করেননি। জনপ্রতিনিধিদের মানুষের পাশে দরকারে কখনও দেখা যায়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। অথচ ভোটের সময় তাঁদের দেখতে পাওয়া যায় বলেই দাবি করেন সুজাতা। করোনা অতিমারির সময়েও বিজেপির কেউ মানুষের পাশে থাকেননি বলে দাবি করেন তিনি।
শুধু বিজেপিই নয়। বুধবারের জনসভা থেকে বিজেপির পাশাপাশি সিপিআইএমকেও কটাক্ষ করেন সুজাতা মণ্ডল। সিপিআইএমকে ছাগলের তৃতীয় সন্তান বলে কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি দাবি করেন, তৃণমূল কংগ্রেস সিপিআইএমের ৩৫ বছরের জগদ্দল পাথরকে ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই এখানে রামে – বামে এক হয়ে গেছে বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি জনসভায় জানিয়েছেন, সিপিআইএমের অত্যাচারের কাহিনি এখনও সকলের চোখে ভাসছে। তাই সিপিআইএমকে একটাও ভোট না দেওয়ার অনুরোধ করেন সুজাতা মণ্ডল।
বুধবার বাঁকুড়ার জনসভা থেকে সুজাতা মণ্ডল বলেন , বিধানসভা ভোট সেমিফাইনাল ছিল, পঞ্চায়েতের পরে ফাইনাল অর্থাৎ লোকসভা ভোট। সেখানে কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে উৎখাত করতেই হবে বলে জনগণকে পরামর্শ দেন তিনি।