মহানগর ডেস্ক: এখন যেদিকে চোখ রাখা যায় সেদিকেই বিয়ে বাড়ি। ফুলের গন্ধ আলোর ঝলকানি। শহরের আনাচে-কানাচে কান পাকলেই এখন শোনা যাচ্ছে সানাইয়ের সুর। হালকা শীতের আমেজে অনেকেই পড়ছেন ‘যদিদং হৃদয়ং মম’ মন্ত্র। তবে এই বিয়ে নিয়ে এক একজনের এক এক রকম ধারণা। তবে কিঞ্চিৎ অন্য ধারনা রাখেন টলিউড অভিনেতা সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়।
বিয়ে কি ঈশপের গল্প নাকি রূপকথার গল্প? ঈশপের প্রতিটা গল্পের নেপথ্যে থাকে নীতি শিক্ষা। কিন্তু বিয়ে থেকে কি আদৌ মেলে কোন নীতি শিক্ষা? এমন হাজারো প্রশ্ন ভিড় জমায় সুজয় প্রসাদের মনে। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন তিনি। গোলাপি ধুতি আর ধূসর রংয়ের পাঞ্জাবিতে যতদূর সম্ভব নিজেও উপস্থিত হয়েছিলেন এক বিয়ে বাড়িতে।
এক সংবাদ মাধ্যমের সুত্রে জানা গিয়েছে, সুজয়ের কথা অনুযায়ী,’ আসলে মাঝে মাঝে আমার মনে হয় কোথাও কি অসম্পূর্ণতা রয়ে গেল? আমার তো কোনদিন এমন সামাজিক স্বীকৃতি, বিয়ে হবে না। তাহলে এটা কি অসম্পূর্ণতা? এটা একটা অদ্ভুত দ্বৈরথ। তারপর মনে হল এটা তো একটা সামাজিক অনুষ্ঠান। বন্ধু যাপনের সঙ্গে এটার কোন সম্পর্ক নেই’।
উল্লেখ্য অভিনেতা নিজেই তার পোস্টে জানিয়েছেন বেলা শেষে ছবির মুক্তির পর তার কাছে এসেছিল একাধিক বিয়ের প্রস্তাব। একজন মেয়ে প্রায় নিত্যদিন মেসেজ করতেন তাকে। পাঠিয়েছিলেন গোছা গোছা চিঠি। যদিও অভিনেতা নিজেই সবটুকু সামলেছেন। সেই মেয়েটিকে জানিয়েছিলেন সে যা চাইছে তা সম্ভব নয়। একাধিক বিবাহিত পুরুষের সঙ্গেও সম্পর্কে থেকেছেন তিনি। যদিও কোনদিন কারোর ঘর ভাঙ্গেননি চট্টোপাধ্যায়। তাই বিয়েটা তার কাছে এক রূপকথার গল্পের মতই। যা কেবল শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়া যায়।