মহানগর ডেস্ক: বর্তমানে বিধানসভায় চলছে শীতকালীন অধিবেশন। আজ সেই অধিবেশন শুরু হতেই হইচই শুরু করে বিরোধী দল। এদিন বিধানসভায় জ্বালানির শুল্ক কমাতে রাজ্য সরকার কেন কোনও পদক্ষেপ করছেন না সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলে গেরুয়া শিবির। কিন্তু উল্টো দিকে মদের দাম কেন কমানো হল সেই নিয়ে বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখায় বিরোধী দলনেতা। এমনকি প্রতিবাদের পরে ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়কেরা।
আর এর পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করে বলেন, ‘রাজ্য সরকার নতুন নতুন ফ্লেভারের মদ নিয়ে এসে যুব সম্প্রদায়কে মাদকাসক্ত করে তুলছে। এদিকে কর্মসংস্থানের কোনও বালাই নেই রাজ্যে। এদিন বিরোধী দলনেতা আরও জানিয়েছেন, ‘রাজ্য সরকার নিত্যনতুন মদ আনছে, দাম কমাচ্ছে। রাজ্যকে বিপথে চালিত করছে। সমস্ত বিজেপি মহিলা বিধায়কের বিরোধিতায় বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনা হয়। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সঠিক উত্তর দেননি। রাজ্যে দু কোটি বেকার যুবক-যুবতী বসে রয়েছে। মন্ডল কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী হিন্দু সম্প্রদায়ের চাকরি পাচ্ছে এক বিশেষ সম্প্রদায়ের। ২০১৪ সাল থেকে বন্ধ এসএসসি, টেট ও প্রাইমারি, আপার প্রাইমারিতে। দুর্নীতির রেজাল্টর ফলে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। যুবকদের ভবিষ্যৎ হাতে ধরে ধ্বংস করছে রাজ্য সরকার’।
বুধবার বিজেপি বিধায়কদের পক্ষ থেকে তিনটি মুলতবি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বিধানসভায়। আসানসোলের দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল মুলতবি প্রস্তাব পড়তে গিয়ে জানান, রাজ্য সরকার মদের দাম ৩০ শতাংশ কমিয়েছে। ২৮ টাকার নতুন ব্র্যান্ডের মদ আনা হচ্ছে। এই ভাবে যুব সম্প্রদায়কে মাদকাসক্ত করে তোলা হচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, বেকার সমস্যা ক্রমশই রাজ্যে প্রকট হচ্ছে। দু কোটি বেকার রয়েছে এখনও রাজ্যে। যদিও বিজেপির এই মুলতবি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়নি। এর পরেই শুরু হয় বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভ দেখান। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখায় শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপরেই বিধানসভা অধিবেশন ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যান নন্দীগ্রামের বিধায়ক।