মহানগর ডেস্ক: কালী বিতর্কের আঁচ এবার রাজভবন পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। দক্ষিণের মহিলা পরিচালক লীনা মণিমেকালাই সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের নতুন তথ্যচিত্র ‘কালী’র পোস্টার শেয়ার করেছিলেন। সেখানে মা কালীকে দেখা গিয়েছে ধূমপান করতে। শুধু তাই নয়, পোস্টারে ব্যবহার করা হয়েছে সমকামী পতাকাও। যা প্রকাশ্যে আসতেই গর্জে উঠেছে আমজনতা। এমনকি বঙ্গ ও কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক মহলের নতুন বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছেন মা কালী। প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য ঝড় তুলেছে রাজ্য রাজনীতিতে। আর তাতেই মঙ্গলবার হাতে কালীর ছবি নিয়ে, সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা পরে, গলায় গেরুয়া উত্তরীয় জড়িয়ে রাজভবনে (Raj Bhvan) পৌঁছান শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
প্রথম থেকেই বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যের বিরোধিতা করা হয়েছে। এমনকি দলের পক্ষ থেকেও সমর্থন পাননি মহুয়া মৈত্র। এই মর্মেই আজ রাজভবনে পৌঁছান বিরোধী দলনেতা। তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যের জেরে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে রাজভবনে হাজির হন তিনি। তাঁর সঙ্গে সেখানে হাজির হয়েছিলেন সাধু-সন্ত ও সমাজের প্রতিনিধিরা। এমনিতে সচরাচর রাজভবনে সাধু-সন্তদের দেখা মেলে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথায়, এই ঘটনা নতুন। অন্যদিকে রাজভবনে আসা সাধু-সন্তরা জানিয়েছেন, “সম্প্রতি যে ধরনের মন্তব্যগুলি করা হয়েছে তার প্রতিবাদে রাজ্যপালের কাছে আমরা এসেছি। আমরা তাঁকে অনুরোধ করব, এমন মন্তব্য যাতে আর না করা হয় তার জন্য যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়”।

রাজভবনে শুভেন্দু অধিকারী
মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ রাজভবন চত্বরে এসে পৌঁছান শুভেন্দু। এরপর গাড়িতেই বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন তিনি। তারপর বাস এবং বেশ কয়েকটি গাড়িতে করে রাজভবনের বাইরে পৌঁছান সাধু-সন্তরা। তারপর তাঁদেরকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যপালের কাছে যান বিরোধী দলনেতা। প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, রাজভবন চত্বর এখন রাজনীতির আখড়া হয়ে গিয়েছে।
এদিন রাজ্যপালের হাতে কালীর ছবি ও প্রতিবাদ পত্র তুলে দিয়েছেন শুভেন্দু। যদিওবা সেখান থেকে বেরিয়ে এসে তেমন কিছুই বলেননি তিনি। তাঁর বক্তব্য, পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে অনেক কিছুই করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে রাজ্যপাল এই নিয়ে জানিয়েছেন, দেবী কালী সম্পর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এসেছিলেন মেচেদা শঙ্খনাদ মন্দিরের সভাপতি ও প্রায় ২০০-রও বেশি সাধু। প্রসঙ্গে জগদীপ ধনখড় জানিয়েছেন, রাজ্যে সিন্ডিকেট ও মাফিয়ারাজ চলছে। তিনি বলেছেন, “সবাইকে সমান চোখে দেখা হোক। রাজ্যের অবস্থা নিয়ে চিন্তিত। ধর্ম, জাতি না দেখে সবাইকে সুবিধা দেওয়া হোক। বাংলায় তোষণের রাজনীতি চলছে”।