মহানগর ডেস্ক: কালী বিতর্কে উত্তাল গোটা দেশ। দক্ষিণের মহিলা পরিচালক লীনা মণিমেকালাই সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের নতুন তথ্যচিত্র ‘কালী’র পোস্টার শেয়ার করেছেন। সেখানে মা কালীকে দেখা গিয়েছে ধূমপান করতে। শুধু তাই নয়, পোস্টারে ব্যবহার করা হয়েছে সমকামী পতাকাও। যা প্রকাশ্যে আসতেই গর্জে উঠেছে আমজনতা। এমনকি বঙ্গ ও কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক মহলের নতুন বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছেন মা কালী। হিন্দুদের সম্মানহানি করা হয়েছে এই পোস্টারের দরুন দাবি অনেকের। এহেন পরিস্থিতিতে মা কালীকে অপমানের প্রতিবাদে সোমবার ১১ জুলাই মহামিছিল ও জনসভার ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
রবিবার ফেসবুকে আগামীকালের কর্মসূচি শেয়ার করেছেন বিরোধী দলনেতা। যেখানে দেখা গিয়েছে, শ্রীশ্রী মা কালীর অপমানের প্রতিবাদে কৃষ্ণনগরের দুপুর তিনটে নাগাদ মিছিলের ডাক দিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে হবে জনসভাও। একদিকে রামকৃষ্ণ মিশনের পঞ্চদশ অধ্যক্ষ স্বামী আত্মস্থানন্দের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘কালী কথা’ শুনিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যার পর নমোর বক্তব্যকে টুইট করে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়েছেন অমিত মালব্য। তাঁর বক্তব্য, তৃণমূল যেখানে মা কালীকে অপমান করছে, সেখানে মা কালীর প্রতি গোটা দেশের ভক্তির কথা তুলে ধরেছেন নরেন্দ্র মোদি। এদিকে আবার জানা গিয়েছে, মা কালী গিয়ে অপমান করার প্রতিবাদে মিছিল বার করবেন শুভেন্দু অধিকারী।

মা কালীর অপমানের প্রতিবাদে মহামিছিলের ডাক শুভেন্দু অধিকারীর
উল্লেখ্য, লীনা মণিমেকলাই তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ের মেয়ে। থাকেন তিনি কানাডার টরন্টোতে। কানাডা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেই মুক্তি পায় তাঁর ডকুমেন্টারি ‘কালী’। আর তার সেই পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হতেই হইচই পড়ে যায় চারিদিকে। জানা গিয়েছে, নর্থ আমেরিকায় থাকা ভারতীয় হাই কমিশন ইতিমধ্যেই কানাডা সরকারকে টরন্টো বেস আগা খান মিউজিয়াম থেকে পোস্টারটি সরিয়ে ফেলার অনুরোধ করেছে। তবে এসবে ভয় পান না মহিলা পরিচালক। এদিকে এই পোস্টার বিতর্কের মাঝে একটি সর্বভারতীয় প্রচারমাধ্যমের সভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন, ঈশ্বরকে নিয়ে নিজের মতো ভাবার স্বাধীনতা রয়েছে সকলের।
তাঁর এই মন্তব্যের পরেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। পরিচালকের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদের বিরুদ্ধেও দায়ের হয়েছে মামলা। প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘নেতিবাচক মন্তব্য নিয়ে কীভাবে বিতর্ক তৈরি করা যায় সর্বদা সেটাই চেষ্টা করা হয়। অথচ রোজ কত মানুষ কত কিছু বলে থাকে। সেই নিয়ে কোনও তরজা হয় না’। এক কথায় দেখতে গেলে, একটা পোস্টারের কারণে ঝড় বয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এবার তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নামছেন শুভেন্দু অধিকারী।