মহানগর ডেস্কঃ তাজপুরের সমুদ্র বন্দর নির্মাণের বিষয়ে আদানি গোষ্ঠীকে রাজ্য সরকারের তরফে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল আগেই। চলতি সপ্তাহের বুধবার সন্ধ্যায় নিউটাউনের ইকো পার্কে আয়োজিত বিজয়া সম্মেলনীতে আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান গৌতম আদানির পুত্র কিরণ আদানির হাতে বন্দর নির্মাণ সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অনুষ্ঠানে এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী শশী পাঁজা। এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে কটাক্ষ করেন তিনি।
বুধবার তমলুক নগর মণ্ডল বিজেপির আয়োজনে সুবর্ণ জয়ন্তী ভবনে বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে শুভেন্দু জানান, তাজপুরে কোনও দিনই বন্দর হবে না। রাজ্য সরকারের তরফে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু জানান, বন্দর করতে পাঁচ হাজার একর জায়গা, ফোরলেন রাস্তা ও রেল লাইন করতে হবে। সরকারের হাতে কোনও ল্যান্ড ব্যাঙ্ক নেই বলে দাবিও করেন তিনি। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী জানান, এই সরকার সাড়ে এগারো বছরে কোনও ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না।
এই বন্দর নিয়ে বাংলার শিল্পমহলের দাবি অন্য। জানানো হয়েছে, তাজপুরে সমুদ্র বন্দর তৈরি হলে যেমন জলপথে বাণিজ্যের পথ প্রশস্ত হবে তেমনই কর্ম সংস্থান বৃদ্ধি পাবে। তেমনই হলদিয়া বন্দরের উপর থেকেও চাপ কমবে। সূত্রের খবর, অনুমতি পত্র হাতে পাওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রীকে এ বিষয়ে দ্রুত কাজ শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন কিরণ।
চলতি বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় আয়োজিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তাজপুর বন্দর নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তারপরেই শিল্পপতিদের সামনে বন্দর নির্মাণে অনুমোদন তুলে দেওয়া হয় আদানি গোষ্ঠীর হাতে। শিল্পমহলের একাংশের দাবি, অন্য শিল্পপতিদের সামনে আদানি গোষ্ঠীর হাতে এই অনুমতি পত্র তুলে দেওয়ার মাধ্যমে রাজ্যে যে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে সেই বার্তাই দিতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।