মহানগর ডেস্ক: কলকাতার কিছু কিছু এলাকা থেকে হিন্দুদের উৎখাত করতে চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamamta Banerjee Led Government) নেতৃত্বাধীন সরকার। মোমিনপুর হিংসা নিয়ে (Mominpur Vilence) তৃণমূল নেত্রীকে তোপ দেগে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Targets TMC)। শুক্রবার শুভেন্দু বলেন, মোমিনপুর,একবালপুর এবং খিদিরপুর থেকে হিন্দুদের উৎখাত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এটা মমতার ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি। হিন্দুদের ভোট বিজেপিতে চলে যাচ্ছে এবং হুমকি, সাম্প্রদায়িক প্রচার চালিয়ে তিনি সংখ্যালঘুদের ভোট নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এর আগে মোমিনপুরে হিংসার ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও রাজ্যপাল লা গণেশনকে চিঠি লিখেছিলেন শুভেন্দু। চিঠিতে বিরোধী দলনেতা লেখেন লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন মোমিনপুরে হিন্দুদের ওপর হামলা চালানো হয়। হিন্দুদের একাধিক দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় একাধিক বাইকেও। অন্যদিকে, হাওড়ার পাঁচলা ও উলুবেরিয়ায় একইধরণের হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে। একইসময় নদিয়া, মুর্শিদাবাদেও সন্ত্রাসের শিকার হন হিন্দুরা। এদিকে মোমিনপুরের ঘটনায় রাজ্য সরকারকে সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ক্যালকাটা হাইকোর্ট। তদন্ত চালানোর পর রিপোর্টও জমা দিতে বলা হয়েছে আদালতে। একইসঙ্গে ওই এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখারও নির্দেশ দেয় আদালত, যার কোনও হিংসাত্মক ঘটনা আর না ঘটে।
গত রবিবার মিলাদ-উন-নবির পোস্টার লাগানো নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয় মোমিনপুরে। মিলাদ উন নবির পোস্টার ছেঁড়া নিয়ে পরিস্থিতি হিংসাত্মক চেহারা নেয়। একাধিক গাড়ি,দোকান, বাইকে ভাঙচুর চালায় একদল দুষ্কৃতী। রাতের দিকে একদল বাসিন্দা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে একবালপুর থানা ঘেরাও করে। বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হন। এরপরই এলাকায় নিরাপত্তা আঁটোসাটো করা হয়। সোমবার একবালপুর এলাকায় জারি করা হয় একশো চুয়াল্লিশ ধারা। এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে অক্টোবরের দশ তারিখ থেকে বারো তারিখ সেখানে বলবৎ করা হয় কারফিউ।
.
.