মহানগর ডেস্ক : সন্দেশখালি কাণ্ডে প্রায় দেড় মাস হতে চললো কোথায় মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান? উত্তর খুঁজছে গোটা রাজ্যবাসী। এদিকে তাকে গ্রেফতার করতে কোনো বাধাই নেই বলে স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার ফের সন্দেশখালির অশান্ত পরিস্থিতির জন্য পুনরায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকেই দায়ী করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তবে এবার নিজের বক্তব্যের প্রমাণও দেখালেন অভিষেক। আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় আদালতের নির্দেশনামা পোস্ট করেছেন অভিষেক। শাহজাহানকে কেন এতদিন গ্রেফতার করা যায়নি? এই প্রশ্নে এখনও আদালতকেই দুষছেন অভিষেক। অন্যদিকে,রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস শাহজাহানের গ্রেফতারের বিষয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছেন।
BJP & ANTI BENGAL Media reaped the benefits of this EMBARGO like true opportunists!
CHRONOLOGY:
⏸️ STAY given on 7th.
▶️ VIOLENCE and VILIFICATION began the following day, on the 8th.
With yesterday’s clarifications from Calcutta HC, I’m confident justice will soon prevail. pic.twitter.com/S5bukTPO6x
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) February 27, 2024
এক্স হ্যান্ডেলে ডায়মণ্ডহারবারের সাংসদ আদালতের নির্দেশনামা পোস্ট করে ক্যাপশানে লিখেছেন, আসলে পুলিশের উপর জারি হওয়া স্থগিতাদেশেরই সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেছে বিজেপি এবং বাংলা বিরোধী কিছু গণমাধ্যম। অভিষেক যে নথি পোস্ট করেছেন সেখানে দেখা যাচ্ছে, কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য পুলিশকে ইডির আবেদন সংক্রান্ত মামলায় কোনও পদক্ষেপ এবং তদন্ত না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এছাড়া তদন্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া থাকলে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে বাধা হয়। কারণ তদন্তই যদি করা না যায় তাহলে গ্রেফতার কেমন করে করা যাবে। মূলত এটাই বোঝাতে চেয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। এদিকে গতকাল সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছিল, শাহজাহানকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে কোনওদিন স্থগিতাদেশ ছিল না। পুলিশ চাইলেই গ্রেফতার করতে পারত তাঁকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়কেই আবার হাতিয়ার করে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ক্রোনোলজি বুঝুন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। ঠিক তার পরের দিন অর্থাৎ ৮ ফেব্রুয়ারি থেকেই হিংসা ও বিক্ষোভ শুরু হল।
প্রসঙ্গত,অভিষেক আগেই বলেছিলেন, শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা করে রাজ্য সরকার। ইডি তাঁকে ধরতে পারেনি। কিন্তু ইডি গিয়ে রাজ্য পুলিশের ওই এফআইআরের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ পেয়েছে। সুতরাং পুলিশের হাত পা বেঁধে দিয়েছে আদালতই। অর্থাৎ পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশের যে অভিযোগ অভিষেক এনেছিলেন সেটা যে ভুল নয় সেটাই বুঝিয়েছেন অভিষেক।