মহানগর ডেস্ক: সামনে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরেই এখন দেশের সাজো সাজো রব। বিজেপিকে হারাতে একাট্টা হয়েছে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি। রাজ্যে যে যার সঙ্গেই বিবাদ থাকুক না কেন কেন্দ্রে সকলে একজোট হয়েই লড়াতে চাইলেও বিরোধী শিবিরে দেখা যাচ্ছে একাধিক ফাটল। কংগ্রেস হাইকম্যান্ড তৃণমূল কংগ্রেসের উপর নরম হলেও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে দেখা গেল বাংলার শাসক দলকে আক্রমণ করেছে। বর্তমানে তৃণমূলে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ চরমে। সেই নিয়েই কটাক্ষ করেছেন বঙ্গের কংগ্রেস নেতা। তৃণমূলকে দুর্নীতির ক্যান্সার বলেও আক্রমণ করেন তিনি।
এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী রাজ্যের রেশন ধর্মঘট নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন। রেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার অভিযোগ এনেছেন । পাশাপাশি, তিনি একসঙ্গে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল ও বিজেপিকে।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তিনি কটাক্ষ করেছেন। তৃণমূলকে আক্রমণ করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, “দুর্নীতিতে আচ্ছন্ন শাসকদল। আজ তাদের দুর্নীতি ক্যান্সারে পরিণত হয়েছে। এর থেকে বাঁচার আর কোনও উপায় নেই। তৃণমূলে বাঁচার দিন শেষ হয়ে গিয়েছে।দ্রুত গতিতে শুরু হয়েছে তৃণমূল দলের পতন।”
অধীরবাবু এদিন কটাক্ষ করে বলেন, “মোদী আছে তো সমস্ত কিছু আছে এবং দিদি আছে তো সমস্ত কিছু আছে। পশ্চিমবঙ্গ আজকে সমস্ত কিছু সম্ভব, চুরি করো, লুট করো, খাও তারপর আবার জ্ঞান শুনতে হয় সবাইকে। তৃণমূলে নবীন প্রবীনের যে লড়াই, সেটার স্ক্রিপ্ট তৈরি হচ্ছে বিজেপি দপ্তর থেকে।” নাম না করে অভিষেককে নিশানা করে বলেছেন, “খোকাবাবু ইডির দপ্তরে হাজিরা দিয়েছিল। নয় ঘন্টা হাজিরা দেওয়ার পর থেকেই পাল্টি খেয়ে গিয়েছেন খোকাবাবু। এই খোকাবাবু যদি বিজেপির প্রজেক্টেড মুখ্যমন্ত্রী হয় তাহলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।” একদিকে তৃণমূলের উপর কংগ্রেস হাইকম্যান্ড নরম কিন্তু সেখানে রাজ্যে মধ্যে দেখা দিচ্ছে বিবাদ। একজোট হয়েছে ২০২৪-এর যুদ্ধে লড়াই করার বদলতল্ধরছে ফাটক। কোন দিকে জোটের ভবিষ্যৎ। এই প্রশ্নই ঘরছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে।