মহানগর ডেস্ক: অগস্ট মাসেই ঘোষিত হয়েছিল ৬৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপকদের তালিকা। অবশেষে নবরাত্রির আবহে দুমাস পরে বিজয়ীদের হাতে উঠল সেরার শিরোপা। আলিয়া থেকে আল্লু, কৃতী থেকে মাধবনরা এদিন চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ করলেন রাষ্ট্রপতি বিজ্ঞান ভবনে। খোদ দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে পুরস্কার নিলেন তাঁরা।
চলতিবার ভারতী চলচ্চিত্রে সর্বোচ্চ পুরস্কার, দাদাসাহেব ফালকে-তে সম্মানিত হলেন ষাট ও সত্তরের দশকের কিংবদন্তি নায়িকা ওয়াহিদা রহমান। এদিন ক্রিম রঙা শাড়িতে রাষ্ট্রপতির হাতে পুরস্কার নিয়ে আবেগতাড়িত হলেন তিনি, চোখ ঝরল অশ্রু। এদিন বিয়ের শাড়ি পরেই স্বামীর সঙ্গে জাতীয় পুরস্কার নিতে গেলেন আলিয়া ভাট। একই রকম সাদা পোশাকে সেজে ছিলেন কৃতি স্যানন ও আল্লু অর্জুন। যারা ২০২৩ সালের সেরা অভিনেতা-অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেলেন। পুষ্পা’র জন্যে আল্লু, গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ির জন্যে আলিয়া এবং মিমির জন্যে কৃতি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। এদিন ‘গাইড’, ‘প্যায়াসা’, ‘কাগজকে ফুল’, ‘চৌদভি কা চান্দ’-সহ অজস্র হিট ছবির লিডিং লেডিও কম চমকপ্রদ বেশে আসেননি পুরস্কার নিতে।পদ্মভূষণ, পদ্মশ্রী সম্মানে আগেই ভূষিত হয়েছেন ওয়াহিদ, এবার মিলল চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সম্মানীয় পুরস্কার দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার। এদিন নয়া দিল্লির বিজ্ঞানভবনে বসেছিল পুরস্কারের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান।
উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। এদিন পুরস্কার হতে নিয়ে লাল গালিচায় দূরদর্শনকে অভিনেত্রী বলেন, এই পুরস্কার তাঁর কাছে বিরাট সম্মানের। তরুণ প্রজন্মকে নিজেদের স্বপ্নের পথে অবিচল থাকার উপদেশ দেন ওয়াহিদা, আর এই পুরস্কার উৎসর্গ করেন গোটা বলিউড ইন্ডাস্ট্রিকে। এদিনের অনুষ্ঠানের অন্যতম হাইলাইট ছিল বিয়ের শাড়িতেই আলিয়ার পুরস্কার গ্রহণ গোটা দেশকে মুগ্ধ করেছে। চলতিবার আলিয়ার সঙ্গে ‘মিমি’ ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার ভাগ করে নিলেন কৃতি শ্যানন। এছাড়া সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেলেন মাধবন।