মহানগর ডেস্কঃ কেন নিজের প্রাণ এমন ভাবে শেষ করলো এক ১৭বছরের কিশোর? এই নিয়ে এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রায় ২মাস ধরে নিখোঁজ ছিল এই যুবক। গতকাল যুবকের পচা গলা মৃত দেহ পাওয়া গেল ডায়মন্ড হারবার এর রাস্তার ধারেএকটি পুরোনো ভাঙাচোরা বাড়ি থেক, যুবকের বাড়ি থেকে প্রায় কয়েকশো কিলোমিটার দূরে।
রবিবার, অর্থাৎ গতকাল বেলার দিকে, এক যুবকের পচা গলা মৃত দেহকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়, এলাকার চারিপাশে। মৃত কিশোরের নাম অমর গায়েন, বয়স ১৭ বছর। কিশোর ঠিকাদারের কাছে কাজ করত মাঝেমধ্যে । বছর শুরুর প্রথমেই অর্থাৎ ৭ জানুয়ারি থেকে এই অমর নামের যুবককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। টানা এতদিন নিখোঁজ থাকার পর, গতকাল এই যুবকের পচা গলা দেহ, ডায়মন্ড হারবার রাস্তার ধারে, একটি পরিত্যক্ত বাড়ি ছিল, সেই বাড়ি থেকেই অমর এর পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক তদন্ত করার পরে পুলিশ জানান, কিশোর আত্মহত্যা করেছেন। রাস্তার পাশের পরিত্যক্ত বাড়ির ছাদ থেকে, এই যুবকের গলায় গামছার ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত দেহ দেখা গেছিল। বাড়িটি থেকে পচা দুর্গন্ধ বার হওয়ায়, সেই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা, ঠাকুরপুকুর থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্বার করে। পুলিশ জানিয়েছে এই বিষয় নিয়ে তদন্ত চলবে, এই যুবক ঠিক কী কারণে আত্মহত্যা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অমর পরিবারের ছোট ছেলে ছিল, তার এরম সিদ্ধান্তে হতবাক পরিবারের সকলে। পরিবার সূত্রে খবর, অমর ৭ জানুয়ারি দুপুরে,
কারোর সাথে ঝামেলা হয়েছিল। কিছু একটা ভাবছিল, তারপর হঠাৎ বল্ল পুকুরে স্নান করতে যাচ্ছে, বলে গামছা নিয়ে বেরিয়ে যায়।
অমরের দিদি পূজা সর্দার বলেন, ‘‘ভাই বাড়িতে এসে দাদাকে জানিয়েছিল, সে রাগ করে ফোন ভেঙে ফেলেছে। সেই ভাঙা ফোন পরে ঠিক করাই। পুলিশ ফোনের কল লিস্ট খতিয়ে দেখছে। কার সঙ্গে ভাইয়ের ঝগড়া হয়েছিল, কার উপরে রাগ করে ফোন ভেঙেছিল, কিছুই বুঝতে পারছি না। আজ সকালে পুলিশ জানায়, ভাইয়ের পচাগলা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে।’’
মৃত যুবকের পরিবার আরও জানায়, টানা দুমাস ধরে তাঁরা অমরকে খোঁজার জন্য থানা এবং লালবাজারে ছোটাছুটি করেছেন। পুলিশকে মৃত যুবকের পরিবার, অনুরোধ করেছিলেন এলাকার বা আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমেও ছেলের খোঁজ করতে । পুলিশ জানিয়েছে, অনেক দিন ধরেই সব জায়গাতেই অমরের খোঁজ করা হচ্ছিল। অমর যেই পুকুরে স্নান করতে গেছিল, সে দিকেও খোঁজ খবর রাখা হয়, যদি কোনও দেহ পুকুরে ভেসে ওঠার খবর পাওয়া যায়। ঠাকুরপুকুর থানাতেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছিল এই বিষয়।