মহানগর ডেস্ক : “সন্দেশখালির ঘটনায় তৃণমূলের মধ্যে কথা বলা যাচ্ছিল না, তাই তৃণমূল ছেঠে বিজেপিতে এলাম”, বললেন অর্জুন সিং। নয়া দিল্লির বিজেপি সদর দফতরে ফের বিজেপির উত্তরীয় গলায় পরে তৃণমূল ছাড়লেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক অর্জুন সিং। যদিও এই যোগদানে নতুন কিছু দেখেননি তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আগেই বলেছেন, “অর্জুনতো বিজেপির সাংসদ পদ ছাড়েননি। যেখানে ইচ্ছে যাক।”
শুক্রবারের এই যোগদান পর্বে বিজেপি আইটি সেলের নেতা অমিত মালব্য অর্জুন সিংকে চারবারের বিধায়ক বলে পরিচয় করিয়ে দেন। এদিন তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।
অমিত মালব্য এদিন যোগদান পর্বের অনুষ্ঠানে সন্দেশখালি প্রসঙ্গ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ও সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “বাংলায় যে হারে অন্যায় ও দুর্নীতি এবং অত্যাচার হচ্ছে তেমন দেশের কোথাও হচ্ছে না।”
শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, “৫০০/১০০০ টাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের লক্ষ্মীর ভান্ডারে দেন কিন্তু বাংলায় মহিলাদের সম্মান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেন না।”
অর্জুন সিং বলেন, “বাংলায় অত্যাচার, গুন্ডামি, চাকরি চুরি হচ্ছে। মানুষের উপর অত্যাচারের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। বিজেপি কর্মীদের খুন করেছে। বাংলার তৃণমূল সরকারের শাসন গুন্ডা ও পুলিশ নির্ভর। এর তাজা উদাহরণ সন্দেশখালি। সারা বাংলায় বহু সন্দেশখালি আছে। সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর যে অত্যাচার হয়েছে সেটা ভারতে তো বটেই সারা বিশ্বে বিরল। বিজেপি এই অত্যাচারিত মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে। এর থেকে মুক্তির একটাই উপায় বাংলায় নরেন্দ্র মোদীর সরকার প্রতিষ্ঠা করা।”
সিএএ নিয়ে অর্জুন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সিএএ হওয়ার পর পাগলা হয়ে গেছেন, তাই যা ইচ্ছে বলছেন। আমায় বিজেপিতে আবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমি বাংলার মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পেলাম। এই কারণে নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি নেতৃত্বকে ধন্যবাদ। ”
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার ২ বছরের মধ্যে আবার বিজেপিতে ফিরে গেলেন। সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন।