Amit Shah
মহানগর ডেস্ক: মাসের শুরুতে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন ২০১৯ সালে প্রণয়ন করা CAA চলতি বছরেই কার্যকর হতে পারে। এই নিয়েই রাজনৈতিক মহলে ব্যপক ঝড় উঠেছিল। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রণয়ন নিয়ে বিজেপি বিরোধী একাধিক দল বিরোধিতা করেছিলেন। সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আইন জারি হতে দেবেন না বলেও সাফ জানিয়েছিলেন। সেই চর্চার মধ্যেই ফের একবার সূত্রে জানা গিয়েছে ঠিক কবে থেকে কার্যকর হতে চলেছে.
সূত্র বলছেন চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগেই কার্যকর হতে পারে সিএএ। এই বিষয়ে নিয়ম জারি করার পরে এই আইন কার্যকর করা হবে। জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট কার্যকর হওয়ার আগে কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (CAA) নিয়মগুলিকে যে কোনও সময় প্রকাশ করা হতে পারে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক মাস আগেই সিএএ লাগু নিয়ে বলেছিলেন, “আমাদের মুসলিম ভাইদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে এবং (সিএএ-র বিরুদ্ধে) প্ররোচিত করা হচ্ছে। সিএএ শুধুমাত্র পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশে নিপীড়নের সম্মুখীন হয়ে ভারতে আসা ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য। এটি কারও ভারতীয় নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সংসদ কর্তৃক প্রণীত CAA, ভারত জুড়ে তীব্র বিতর্ক এবং ব্যাপক প্রতিবাদের বিষয় হয়ে উঠেছিল। CAA-তে খোদ রাষ্ট্রপতির সিলমোহর পড়লেও বিধি তৈরি হয়নি। দিল্লির শাহিনবাগে অবস্থান বিক্ষভ এবং অসমের গুয়াহাটিতে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। কলকাতাতেও ব্যপক বিক্ষোভ হয়। তবে করোনার সময় বিধিনিষেধ এবং লকডাউনের জন্য প্রতিবাদের আগুন কমে গিয়েছিল। তাই সেই অর্থে দেশে এখনও আইনটি কার্যকর করা যায়নি। কিন্তু এই আইন কার্যকর করার চেষ্টা হয়েছে প্রবল। কিন্তু গত ৫ বছরে যখনই এই আইন কার্যকরের কথা বলেছে মোদী সরকার ঠিক ততবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গেই কিছু না কিছু কারণে পিছিয়ে গিয়েছে কেন্দ্র। তবে শোনা যাচ্ছে এবার আর কোনও বাধা মানা হবে না।
অমিত শাহকে বলেছিলেন ‘খুনি’, সেই মানহানির মামলা থেকে জামিন পেলেন রাহুল গান্ধী
মহানগর ডেস্ক: ২০১৮ সালের একটি মানহানির মামলায় জামিন দেওয়া হল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে । ২০১৮ সালে কর্নাটক নির্বাচনের রাহুল নাকি অমিত শাহকে খুনি হিসাবে দাবি করেছিলেন। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই করা হয়েছিল মানহানির মামলা। ওই ঘটনার জন্য আদালতের নির্দেশে আজ মঙ্গলবার আগে রাগাকে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হয় তাঁর পরেই সেই মামলা থেকে মুক্তি দিয়েছে আদালত।
সুলতানপুরের জেলা দেওয়ানি আদালত রাহুল গান্ধীকে ৩৬ ঘন্টা আগে একটি সমন জারি করেছিল যাতে ২০১৮ সালের আগস্টে বিজেপি নেতার দায়ের করা মানহানির মামলায় তার সামনে হাজির হতে হয়। এদিন ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা ছেড়ে উত্তর প্রদেশের সুলতানপুরের এক বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হয় রাগাকে। জানিয়ে রাখা ভাল, ২০১৮ সালের মে মাসে একটি সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ‘হত্যায় অভিযুক্ত’ বলেই দাবি করেছিলেন, ওই বছরই ৪ অগাস্ট বিজেপি নেতা বিজয় মিশ্র রাগার বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই মামলাতেই এদিন জামিন পেলেন রাহুল গান্ধী। রাগা একটি পোস্টে লিখেছেন, “আজ সকালে রাহুল গান্ধী সুলতানপুরের ডিস্ট্রিক্ট সিভিল কোর্টে থাকবেন যেটি তাকে ৩৬ ঘন্টা আগে একটি সমন জারি করেছিল যাতে ২০১৮ সালের অগাস্টে বিজেপি নেতার দায়ের করা মানহানির মামলায় হাজির হওয়ার জন্য। ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা লাইনচ্যুত হবে না। রাহুল গান্ধীকে চুপ করানো যাবে না। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসকে ভয় দেখানো হবে না।”
বিজয় মিশ্রের পক্ষে হাজির হওয়া আইনজীবী সন্তোষ কুমার পান্ডে বলেছেন যে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সাজা দেওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, “কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বেঙ্গালুরুতে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন। প্রায় ৫ বছর আগে অমিত শাহ যিনি বর্তমানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তার বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়েছিল। ৪ অগাস্ট, ২০১৮ সালে, এই মামলাটি এমপির জেলা ও দায়রা আদালতে দায়ের করা হয়েছিল। -এমএলএ কোর্ট সুলতানপুর। সোমবার এমপি এমএলএ কোর্ট সুলতানপুরের বিচারক যোগেশ কুমার যাদব ১৬ ডিসেম্বর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে তলব করেছিলেন।” অন্যদিকে বিজয় মিশ্র বলেছেন, “যখন এই ঘটনাটি ঘটেছিল তখন আমি বিজেপির সহ-সভাপতি ছিলাম। রাহুল গান্ধী বেঙ্গালুরুতে অমিত শাহের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন যে তিনি একজন খুনি। আমি যখন এই অভিযোগগুলি শুনলাম, তখন আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম কারণ আমি দলের একজন ৩৩ বছর বয়সী কর্মী। আমি আমার আইনজীবীর মাধ্যমে এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি এবং এটি প্রায় ৫ বছর ধরে চলতে থাকে। আজ এই সিদ্ধান্ত এলো।”
মমতার উদ্দেশ্য কি, সন্দেশখালি প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য অমিত শাহের
মহানগর ডেস্ক: সন্দেশখালির রেশ পৌঁছেছে দিল্লি পর্যন্ত। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির কার্যনির্বাহী বৈঠকে দিল্লিতে গেরুয়া শিবিররে শীর্ষ নেতৃত্বের বার বার উঠে এসেছে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এদিন বাংলার সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করেছেন। বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন।
একযোগে কংগ্রেস, তৃণমূল সহ বাকি বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন শাহ। বিশেষ করে বাংলার সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলেছেন।বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশন থেকে মমতাকে নিশানা করে বলেছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য তাঁর ভাইপো অভিষেককে মুখ্যমন্ত্রী বানানো। বিজেপি বিরোধীদের একহাত নিয়ে শাহ বলেন, “কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী যেমন তাঁর ছেলে রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে চান, শরদ পওয়ার তার মেয়েকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চান, লালুজি নিজের ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চান, তেমনই মমতা দিদিরও লক্ষ্য তাঁর ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী বানানো।” তৃণমূলের পাশাপাশি এদিন কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্র নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন।
এদিন শাহ বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটকে নিশানা করে বলেছেন,“হিংসার জনক হল কংগ্রেস। দেশে অস্থিরতা ছড়িয়েছে কংগ্রেসই। কোন রাজ্যে নির্বাচনের সময় হিংসা হয়? আমি আপনাদের হিসাব দিতে চাই। কেরলে ১০০ জন কার্যকর্তা শহিদ হয়েছেন। ৩০০ কার্যকর্তাকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে ক্ষমতায় কারা রয়েছে? ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা।” বাংলায় ভোটের সময় হিংসা নিয়েও সরব হন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে শতাধিক বিজেপি কর্মী নির্বাচনের সময় হিংসার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। প্রতিবার নির্বাচনের সময় কারচুপি, হিংসা, খুন-খারাপি হয়। বিহারে আগে যখন জঙ্গলরাজ ছিল, তখনও এইরকম হিংসা হত।” কেবল শাহ নয় সন্দেশখালির কথা শোনা গিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-ের গলাতেও। বিজেপি দাবি করে বলেছে, “স্বাধীন ভারতে এত হৃদয় বিদারক ঘটনা আগে কখনও শোনা যায়নি। এটা শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের লজ্জা নয়, গোটা মানবজাতির লজ্জা।”
মহানগর ডেস্ক: লোকসভা যুদ্ধের ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। শুধু কি তাই প্রচারও শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। আসন্ন ২৪-এর ভোটে অনান্য রাজ্যের মতই বিজেপির পাখির চোখ বাংলা। কারণ এই রাজ্যে নেহাত কম আসন আসন নেই। তাই এবার ময়দানে নামতে চলেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দলীয় সূত্রে খবর বঙ্গ সফরে আসছেন নমো। তবে শুধু মোদী নন বাংলায় আসছেন তাঁর ডান হাত তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
জানা গিয়েছে উচ্চ-মাধ্যমিক শেষ হলেই বঙ্গে আসবেন এই দুই জুটি। এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে এবং শেষ হবে ২৯ ফেব্রুয়ারি। সূত্রের খবর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার শেষ দিন অর্থাৎ ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। তাঁর একাধিক কর্মসূচী রয়েছে। অন্যদিকে উচ্চমাধ্যমিক শেষ হলে বাংলায় একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনে বাংলায় আসবেন নরেন্দ্র মোদী। এমনটাই খবর। লোকসভা ভোটের আগে মোদীর বঙ্গ সফর বঙ্গ বিজেপি কর্মীদের মধ্যে অন্য এনার্জি দেবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
জানিয়ে রাখা ভাল, জাতীয় নির্বাচন কমিশন মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহেই লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে। এমনটাই সূত্রের খবর। তবে তার আগে ৪ মার্চ রাজ্যে আসছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। বৈঠকের কথা রয়েছে মুখ্যসচিব, ডিজির পাশাপাশি জেলাশাসকদের সঙ্গে। তাই বলাই বাহুল্য যে এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিশেষ করে বাংলার উপর আলাদা নজর রয়েছে। বঙ্গে ৪২টি আসের মধ্যে যতটা সম্ভব আসন দখল করা যায় সেই চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। রাজনৈতিক মহলের নজর থাকছে প্রার্থী তালিকার দিকেও।
দেশে কবে চালু হচ্ছে CAA, লোকসভার আগে বড় ঘোষণা করে দিলেন অমিত শাহ
মহানগর ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা CAA নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে। বলা ভালো এই নিয়েই রাজনৈতিক মহলে নতুন করে ঝড় উঠেছে। কয়েকদিন আগেই বিজেপি নেতা শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছিলেন কবে বাংলা সহ দেশে চালু হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। এই বিষয় নিয়ে এবার বড় তথ্য দিলেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জানিয়েছেন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশে চালু হবে CAA ।
শনিবার একটি বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখার সময়েই এই তথ্য দিয়েছেন অমিত শাহ। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) সম্পর্কে শাহ বলেছেন, “২০১৯ সালে এই আইন তৈরি হয়ে গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগেই এই আইন কার্যকর করা হবে। শীঘ্রই এই সংক্রান্ত নিয়ম জারি করা হবে।” এর পরেই তিনি বলেছেন, “আমাদের মুসলিম ভাইদেরকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে এবং সিএএ-র বিরুদ্ধে প্ররোচিত করা হচ্ছে। সিএএ শুধুমাত্র পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশে নিপীড়নের মুখোমুখি হয়ে ভারতে আসা ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য। এটি কারও ভারতীয় নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ঘোষণা যে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে ঝড় তুলবে তাক আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এখানেই শেষ নয় আসন্ন ভোটে বিজেপি দেশে কতগুলি আসন পাবে সেই সংখ্যাও জানিয়ে দিয়েছেন।
লোকসভা ভোটের আগে আসন পাওয়া নিয়ে এদিন অমিত শাহ জানিয়েছেন, “আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩৭০ আসন এবং এনডিএ ৪০০টিরও বেশি আসন পাবে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করবে।” তিনি আরও বলেছেন্ম, “আমরা সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করেছি, যা পূর্ববর্তী জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে একটি বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিল। তাই আমরা বিশ্বাস করি যে দেশের জনগণ বিজেপিকে ৩৭০টি আসন এবং এনডিএকে ৪০০টিরও বেশি আসন দিয়ে আশীর্বাদ করবে।” এদিনের বক্তব্যে শাহের কথায় উঠে এসেছে রামমন্দিরের প্রসঙ্গও। অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “দেশের মানুষ ৫০০-৫৫০ বছর ধরে বিশ্বাস করে যে, যেখানে ভগবান রামের জন্ম হয়েছিল সেখানেই মন্দির তৈরি করা উচিত। তবে, তুষ্টির রাজনীতির কারণে এবং আইনশৃঙ্খলার উদ্ধৃতি দিয়ে, রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়নি।”
উল্লেখ্য, কোভিডের আগে দেশ জুড়ে সিএএ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল। এই আবহে আইনটি কার্যকর হলেও তা প্রয়োগ করা হয়নি। শাহ দাবি করেছিলেন, কোভিড চলে গেলেই সিএএ-র নিয়ম তৈরি করে তা প্রয়োগ করা হবে। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, বাড়িতে বসেই মোবাইল থেকে কোনও নথি জমা না দিয়েই সিএএ-র জন্যে আবেদন করা গেলেও সেই ব্যক্তির দাবির বিষয়টি খুব সম্ভবত খতিয়ে দেখবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন। এদিকে পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করার নিয়ম থাকায়, বিষয়টি স্বচ্ছ হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।গত ২৭ ডিসেম্বর কলকাতায় এসে অমিত শাহ বলেছিলেন, “সিএএ প্রয়োগ করা হবেই। কোনও শক্তি CAA কে ঠেকাতে পারবে না।” উল্লেখ্য, ২০১৯-২০২০ সালে সিএএ-র বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি ঠাকুরনগরে এক ধর্মীয় সভা এবং বেশ কয়েকটি জনসভা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও দাবি করেছিলেন, লোকসভা ভোটের আগে সিএএ প্রয়োগ করা হবে। আর এবার ভোটের মুখে শাহ জানিয়ে দিলেন, শীঘ্রই সিএএ কার্যকর হবে দেশে।
মহানগর ডেস্ক: অমিত শাহের বঙ্গ সফর বাতিল। বিষয়টি নিশ্চিত করল রাজ্য বিজেপি। সোমবার বাংলায় সভা ছিল অমিত শাহর, কিন্তু ইতিমধ্যেই সব কর্মসূচি বাতিল করা হল। রবিবার রাতেই তিনি কলকাতায় আসতেন। কিন্তু তাঁর সফর বাতিল হল। তবে ভোট আসার আগেই তিনি বাংলায় আসতে পারেন।
শোনা যাচ্ছে টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে, আগে পাটলিপুত্রে যাবেন তিনি। সে কারণেই বাতিল তাঁর বঙ্গ সফর। তবে এখনও তাঁর অফিসিয়াল পেজ থেকে সফর বাতিলের কারণ জানানো হয়নি। এদিকে বিরোধী জোট থেকে বেরিয়ে আসছেন নীতীশ কুমার। জল্পনা মহাগঠবন্ধনের দেড় বছর কাটতে না কাটতেই ফের বিহারের সরকার পরিবর্তন হতে চলেছে। বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে চলেছে NDA। তবে অক্ষত থাকছে নীতীশের কুর্সি। নবমবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করবেন তিনি। তা নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই চলছে রাজনীতিতে জল্পনা। এদিকে আগে শোনা গিয়েছিল, ২৮ জানুয়ারি রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে বিজেপির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড নামবেন। সোমবার গুরুত্বপূর্ণ সভায় যোগ দেবেন অমিত শাহ। মেচেদাতেও তাঁর একটি জনসভা করার কথাও ছিল। ওইদিন রাতেই ফের দিল্লি উড়ে যেতেন। গোটা কর্মসূচিই এদিন বাতিল করে দিয়েছে বিজেপি সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৯ নভেম্বর বাংলায় এসেছিলেন শাহ। শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারদের সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় একটি বড় সভাও করেছিলেন তিনি।
‘হিমন্ত সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত, অমিত শাহ তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করেন” অসমের ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক রাগা
মহানগর ডেস্ক: ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় অমসের গুয়াহাটিতে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে যায় যে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মঙ্গলবার অসমের ডিজিপিকে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেয়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। চলছে একে অপরের দিকে কাদাছোঁড়াছুড়ি। এই ঘটনা নিয়েই এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাহুল গান্ধী। ঘটনাতে টানলেন অমিত শাহের নাম।
অসমের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে রাহুল গান্ধী তোপ দেগে বলেছেন, ‘হিমন্ত শর্মা সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত, অমিত শাহ তাকে নিয়ন্ত্রণ করেন।” রাগা অসমের বারপেটাতে তাঁর ‘ভারত জোড় ন্যায় যাত্রা’ চলাকালীন বলেছেন, “তিনি দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত মুখ্যমন্ত্রী। মিডিয়া আপনাকে যা কিছু বলেছে যেটা অসমের মুখ্যমন্ত্রী তাদের কাছে জানিয়েছেন।” এর পরেই তিনি বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেছেন, “অসমের মুখ্যমন্ত্রীর নিয়ন্ত্রণ অমিত শাহের হাতে। তিনি (হিমন্ত বিশ্ব শর্মা) অমিত শাহের বিরুদ্ধে কিছু বলার সাহস করলে তাকে দল থেকে বের করে দেওয়া হবে।”
জানিয়ে রাখা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে অসমে ভারত জোড়া ন্যায় যাত্রা চলাকালীন রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সম্বোধন করা একটি চিঠি লিখেছেন। যেখানে খাড়গে গত কয়েকদিন ধরে অভিযোগ ওঠা গুরুতর নিরাপত্তা ত্রুটির বিশদ বিবরণ দিয়েছেন। খড়গের চিঠিতে বেশ কয়েকটি “হামলা”র উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, “আসাম পুলিশ পরিকল্পিতভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে অথবা বিজেপি কর্মীদের রাহুল গান্ধীর দলের কাছাকাছি আসতে দিয়েছে, তার নিরাপত্তা কর্ডন ভঙ্গ করেছে, এবং তার এবং তার দলের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করেছে।”
রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস কর্মীরা মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পরে গান্ধী এবং অন্যান্য কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার পরেই রাগা অভিযোগ আনলেন। এফআইআর তাদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, বেআইনি সমাবেশ এবং শান্তি ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই ঘটনার নিন্দা করেছেন, কংগ্রেস কর্মীদের কর্মকাণ্ডকে “নকশাল কৌশল” হিসাবে উল্লেখ করেছেন যা তিনি “অসমীয়া সংস্কৃতির জন্য বিজাতীয়” বলে দাবি করেছেন।
মহানগর ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শনিবার বলেছেন যে, কেন্দ্র শীঘ্রই ভারত-মায়ানমার সীমান্তে বেড়া দেবে। ঠিক যেমনটি দেশে অবাধ চলাচল সীমিত করার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তে ব্যারিকেড করা হয়েছে। এই ঘোষণার সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, ফ্রি মুভমেন্ট রেজিম (এফএমআর), ভারত-মায়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসকারী ব্যক্তিদের ভিসা ছাড়াই একে অপরের অঞ্চলে ১৬ কিমি প্রবেশ করতে দেয়, তা রোধ করার জন্যই এও কি সম্ভব ব্যবস্থা করেছে।
গুয়াহাটিতে আসাম পুলিশ কমান্ডোদের পাসিং আউট প্যারেডে বক্তৃতা করার সময়, অমিত শাহ বলেছিলেন, “মায়ানমারের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত শীঘ্রই বাংলাদেশের সীমান্তের মতো সুরক্ষিত হবে। আমি আসামের আমার বন্ধুদের বলতে চাই যে নরেন্দ্র মোদী সরকার মায়ানমারের সঙ্গে ভারতের খোলা সীমান্তে বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যেভাবে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে দেশের সীমান্তে বেড়া দিয়েছি। সরকার মায়ানমারের সঙ্গে ভারতের ফ্রি মুভমেন্ট রেজিম (এফএমজি) চুক্তিটিও পুনর্বিবেচনা করছে এবং শীঘ্রই ভারতে অবাধ চলাচল বন্ধ করবে।” ভারত মায়ানমারের সঙ্গে ১৬৪৩-কিমি দীর্ঘ সীমান্ত ভাগ করে যা মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচল প্রদেশের মতো রাজ্যগুলির মধ্য দিয়ে যাবে। এই সমস্ত রাজ্যে বর্তমানে FMR রয়েছে, যা ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট নীতির অংশ হিসাবে ২০১৮ সালে প্রয়োগ করা হয়েছিল।
অমিত শাহের মন্তব্য ভারত মায়ানমারের সঙ্গে তার নিরাপত্তা উদ্বেগ, বিশেষ করে দেশে মিয়ানমারের শরণার্থীদের আগমন সহ সীমান্তে চ্যালেঞ্জগুলি উত্থাপন করার এক মাস পরে এসেছে। তার বক্তৃতায় আরও, অমিত শাহ পূর্ববর্তী কংগ্রেস শাসনকে আক্রমণ করে বলেছিলেন যে, তার মেয়াদে সরকারী চাকরী পাওয়ার জন্য লোকেদের ঘুষ দিতে হয়েছিল, এবং বজায় রেখেছিলেন যে বিজেপি শাসনে চাকরির জন্য একটি পয়সাও দিতে হবে না। ২২ জানুয়ারী অযোধ্যায় রাম মন্দিরের মেগা পবিত্রতার কথা বলতে গিয়ে, অমিত শাহ বলেছিলেন যে, ভগবান রাম ৫৫০ “অসম্মানজনক” বছর পরে দেশে ফিরে আসবেন। এটি সমগ্র ভারতের জন্য গর্বের বিষয়।’ প্রাণ প্রতিষ্টান’ অনুষ্ঠানটি এমন একটি সময়ে ঘটছে যখন দেশ একটি পরাশক্তি হওয়ার পথে।
মহানগর ডেস্ক: সম্প্রতি স্থানীয় দৈনিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের একটি মন্তব্য ঘিরে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন, তিনি বিহারের জোট সরকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এবং জেডি (ইউ) প্রধান নীতীশ কুমারের মতো প্রাক্তন মিত্রদের এনডিএ ভাঁজে স্বাগত জানানো হবে কিনা জানতে চাইলে শাহ বলেন, যদি কারও কাছে এটির প্রস্তাব থাকে তবে তা বিবেচনা করা হবে।
অমিত শাহের মন্তব্যকে নীতীশ কুমারের উপর দরজা বন্ধ না করার স্বীকার হিসাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল, যিনি দুই বছরেরও কম আগে বিজেপিকে ফেলে দিয়েছিলেন। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমকে শাহের মন্তব্য সম্পর্কে বলেন, “আমি জানি না। অমিত শাহ কী বোঝাতে চেয়েছিলেন তা হয়তো আপনারা ভালো জানেন।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যটি ক্ষমতাসীন মহাগঠবন্ধন এবং বিরোধী দল বিজেপি উভয়ের মধ্যেই বিতর্কের ঝড় তুলেছে। এরকম একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল নীতিশ কুমারের বাসভবনে এবং আরেকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিহার বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা বিজয় কুমার সিনহার বাড়িতে। বৈঠকের পরে, তেজস্বী যাদব সাংবাদিকদের কাছে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন এবং জাফরান দলকে গুজব ছড়ানোর জন্য অভিযুক্ত করেন।তেজস্বী যাদব বলেন, “লালু (যাদব) এবং নীতীশ (কুমার) হাত মেলানোর পর থেকেই বিজেপি ক্ষুব্ধ। এই হতাশার মধ্যেই তারা এই ধরনের বিবৃতি দিয়েছেন। বিজেপি বিহারের রাজনৈতিক ক্ষেত্র থেকে ধুয়ে যাবে এবং এর সম্ভাবনা নিয়ে জাফরান দলের হতাশা নেতাদের গুজব ছড়ানো অবলম্বন করছে। আমরা একসঙ্গে রাজ্য সরকার চালাচ্ছি। রাজ্যের দ্রুত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমাদের নিয়মিত দেখা করতে হবে।” আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তারা কতটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে তাও তিনি বিজেপিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন।
বিহারে মোট ৪০টি লোকসভা আসন রয়েছে। বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছিলেন যে নীতিশ কুমার জোটে অসন্তুষ্ট ছিলেন বলে জল্পনা শুরু হওয়ার পরে বিরোধী দল ভারত ব্লকের মধ্যে “সব ঠিক আছে”। নীতিশ কুমার এবং তার দল ২০২২ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং আরজেডির সঙ্গে মহাগঠবন্ধন সরকার গঠন করে।