মহানগর ডেস্ক: বীরভূমের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়ালেন। আক্রমণ করলেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। রবিবার মমতা বললেন, “কেষ্টকে কতোদিন ধরে জেলে বন্দী করে রেখেছে। আজও মানুষের মনে ও আছে। আপনাদের কজনের নামে একই অভিযোগ আছে, কাকে ধরেছেন? বিএসএফ কী করছে?”
এদিন তৃণমূলনেত্রী বলেন, “এখন আধার কার্ড ক্যানসেল করে দিচ্ছে। যাতে ভোটের আগে কেউ টাকা না পায়। বর্ধমান, বীরভূম, দুই ২৪ পরগণায় অনেক মানুষের আধার কার্ড ক্যানসেল করে দিয়েছে। আমি মুখ্য সচিবকে বলেছি, আমাদের কার্ড দিয়ে আমরা প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাবো।” ভোট যত এগিয়ে আসছে ততোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন। গত প্রায় সবকটি সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে নিশানা করে চলেছেন। রবিবার মমতা বলেন, “মাথা কেটে দিচ্ছ, মুন্ড গেলে খাবে কি?” রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “আমরা অন্যায় করলে কাউকে ক্ষমা করি না, শাস্তি দিই।”
মমতা এদিন বলেন, “নির্বাচনের আগে কেন্দ্র বলছে, আয়ূস্মান কার্ড করে দেবে। আপনি জানেন তো আয়ূস্মানের ৬০%কেন্দ্র ৪০% রাজ্য দেয়। আমরা স্বাস্থ্যসাথী করেছি। আইসিডিএস- এ আমরা এখন ৬০% টাকা দিই। মিড ডে মিল যারা রান্না করে তাদের ৫০০ টাকা বাড়িয়েছি। তাই আমি বলব, মনদিয়ে পড়দশোনা, রান্না,গানবাজনা করুন। মনে রাখবেন কোনও কাজ ছোট নয়। এটা রবীন্দ্রথাথের জায়গা। এখানে তিনি কাটিয়েছেন। কন্যাশ্রীর মেয়েরা, তোমরা দোলা না দিলে আমার হৃদয় জাগবে কি করে? মা -বোনেদের ইজ্জত বাঁচবে কি করে?”
মমতা বলেন, “১২ নয় ১১ ক্লাস থেকে ট্যাব দেওয়া হবে। ১১ ক্লাস থেকে উচ্চশিক্ষা শুরু হয়।” তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের সভা থেকে বলেন, “এনআরসি নয়, বাঁচতে চাই। নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। যতদিন আছি কারও গায়ে আঁচ লাগতে দেবো না। খেলা হবে? খেলতে হবে?” রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনা নিয়ে এদিন মমতা ফের দেউচা পাচামির কথা উল্লেখ করেন। বলেন, “পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরে আসুন। শামিরুলের (রাজ্য সভার তৃণমূল সাংসদ) উপর দায়িত্ব দেওয়া আছে। এদিন সভা শেষে মমতা বলেন, “ব্লকে ব্লকে নজর রাখুন। আধার কার্ড কাটলে রাজ্য সরকারের পোর্টালে জানান। এনআরসি এ রাজ্যে হবে না। বলে বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও। এরা দেখেও না দেখার ভান করে। শুধু মিথ্যে কথা বলে, মিথ্যে কথা বলে, মিথ্যে কথা বলে। শুধু দাঙ্গা লাগায়, শুধু দাঙ্গা লাগায়, শুধু দাঙ্গা লাগায়। ওদের বিশ্বাস করবেন না। আমরা একসাথে বাঁচি। আমরা জমিদার নই পাহারাদার। মানুষের সুখ-দুঃখে আমরা বাঁচি।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের সভা থেকে বেশ কিছু সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।