মহানগর ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ হয়েছেন দুই সেনা অফিসার । জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। ৪৮ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে একজন জওয়ান নিখোঁজ এবং অন্য দু’জন আহত হন। কোকারনাগের ঘন জঙ্গলে সন্ত্রাসবাদীদের আটক করতে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। এরপর বুধবার ভোরে শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ। ওই দিন অভিযানে সেনাবাহিনীর দুইজন ও একজন পুলিশ অফিসার সহ তিনজন কর্মকর্তা নিহত হন।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন একজন কর্নেল মনপ্রীত সিং, অপরজন হলেন মেজর আশিস ধোনাক ও ডিএসপি হুমায়ুন ভাট। এনকাউন্টারে নেমে শহিদ হন তাঁরা। বলা বাহুল্য যে, ভারতীয় বাহিনী অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে জঙ্গি দমনের কাজ করে চলেছে। যদিও সন্ত্রাসবাদীদের পক্ষ থেকে হতাহতের পরিসংখ্যানের কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি। নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে নতুন প্রজন্মের অস্ত্র ও ডিভাইস ব্যবহার করছে, যার মধ্যে রয়েছে স্ট্রাইক-সক্ষম হেরন ড্রোন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১২ এবং ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে সেনাবাহিনী এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ তাদের যৌথ অনুসন্ধান অভিযান শুরু করে। তারা গারোল গ্রামে কিছু সন্ত্রাসবাদী জঙ্গিদের সন্ধানে ঘেরাও করে। অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় জানা যায়, ঘন জঙ্গলের উচ্চ সীমানায় একটি গোপন আস্তানায় রয়েছে জঙ্গিরা।
কর্নেল মনপ্রীত সিংয়ের নেতৃত্বে, মেজর আশিস ধোনাক সহ ডিএসপি হুমায়ুন ভাট ঘন জঙ্গলের প্রবেশ করে এবং দুর্গম ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে চলে যান। দুপুরের দিকে তাঁরা সন্ত্রাসীদের প্রচণ্ড গুলিবর্ষণের মুখে পড়েন এবং পাল্টা গুলি চালান তাঁরাও। কর্নেল মনপ্রীত সিং, মেজর আশিস ধোনাক ও ডিএসপি হুমায়ুন ভাট ভয়ানক সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁদের মৃত্যু হয়। একজন নিখোঁজ রয়েছেন। বৃহস্পতিবার লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা শ্রীনগরে সেনা অফিসারদের শ্রদ্ধা জানান।