I vehemently condemn the arrest of Arvind Kejriwal, the sitting elected Chief Minister of Delhi elected by the people. I have personally reached out to Smt Sunita Kejriwal to extend my unwavering support and solidarity. It’s outrageous that while elected opposition CMs are being…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) March 22, 2024
arrest
মহানগর ডেস্ক: রক্ষকই ভক্ষক। মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সুবিচার পেতে পুলিশের কাছে যায়। কিন্তু সেই পুলিশ কর্তা যখন খোদ ধর্ষণের সঙ্গে যুক্ত থাকে তখন সুরক্ষা কোথায় এই প্রশ্নই উঠছে। আসামের একজন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (DSP)-কে রবিবার নাবালিকা গৃহকর্মীকে বারবার ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত DSP -কে কিরণ নাথ বলে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি অসমের গোলাঘাট জেলার লাচিত বোরফুকান পুলিশ একাডেমিতে কর্মরত ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। নির্যাতিতার বয়স ১৫ বছর। অভিযোগ করেছে যে তাকে বারবার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা তাঁকে ধর্ষণ করেছে এবং জোর করে নিজের বাসভবনে আটকে রেখেছিল। পুলিশ কর্তা পরিবারের সদস্যদের সহায়তায় তাকে নির্যাতন করত বলেও অভিযোগ করেছে। নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা শনিবার দেরগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তার পর রবিবার অভিযুক্ত ডিএসপি-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অসমের ডিজিপি জ্ঞানেন্দ্র প্রতাপ সিং বলেছেন যে তদন্তের সময় যে প্রমাণগুলি এসেছে তার ভিত্তিতে DSP কিরণ নাথকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জ্ঞানেন্দ্র প্রতাপ সিং এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “পুলিশ কর্মীদের মধ্যে যৌন অসদাচরণের প্রতি শূন্য সহনশীলতা অসম পুলিশের নীতির মূল ভিত্তি হিসেবে রয়েছে। কিরণ নাথকে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ধারা ৩৭৬ (ষোল বছরের কম বয়সী একজন মহিলাকে ধর্ষণ), ৫০৬ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) এবং যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইন (POCSO), ২০১২ এর ধারা ৬ এর অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে তারা নির্যাতিতা এবং অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য রেকর্ড করেছে এবং বিষয়টি আরও তদন্ত করছে।
মহানগর ডেস্কঃ এক যুবক নিজের আসল পরিচয় গোপন করে এক তরুণীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর যখন যুবকের আসল পরিচয় প্রকাশ্যে আসে, তখন যুবক স্ত্রীকে জোর করতে থাকেন ধর্ম পরিবর্তন করার জন্য। এমনকি কিছু দিন পর অত্যাচার বাড়তে থাকে, তরুণী কে পণের দাবিতে খুনের হুমকিও দিতে শুরু করেন। বিয়ে করা তরুণীর এই অভিযোগের ভিক্তিতে শুক্রবার তরুণকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশে সোনভদ্র এলাকায় । অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সাহজেব, ওরফে রোহন রাই। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, রোহনের সাথে তরুণীর পরিচয় ঘটে ফেসবুকের মাধ্যমে। তারপর শুরু হয় কথাবার্তা, ধীরে ধীরে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ভালো গড়ে ওঠে দুজনের মধ্যে, তারপর সেই বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে প্রেমে পরিণত হতে থাকে। তারপর একদিন দুজনে সিদ্ধান্ত নিলেন বিয়ে করার।
ঘটনা সম্পর্কে তরুণী জানিয়েছেন যে, যেহেতু ফেসবুকে পরিচয় ঘটেছিল দুজনের সেই জন্য বিয়ের আগে রোহনের বিষয়ে কিছুই জানতেন না তরুণী। বিয়ে করার পর আসল পরিচয় জানতে পারেন যে তার স্বামীর নাম রোহন নয়। স্বামীর আসল নাম সাহজেব। তারপর তরুণী জানতে পারেন অভিযুক্ত যুবক বিয়ে করার জন্য, তাঁর নকল পরিচয় নিয়ে বিয়ে করেছেন। শুধু তাই নয় বিয়ে করার পর অত্যাচারও করা শুরু করে দেয় স্ত্রীকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য ।প্রতিদিন জোর করতে থাকেন যে স্ত্রী কে ধর্ম পরিবর্তন করতে হবে নাহলে পন দিয়ে হবে।করতেন সাহজেব। যদি স্ত্রী পণ দিতে না পারেন, তাহলে স্ত্রীকে খুন করবেন, এমন হুমকিও দিতে থাকতেন অভিযুক্ত। হুমকিও দেন বলে
বাধ্য হয়ে স্ত্রী সাহজেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে থানার দারোস্ত হন। উত্তর প্রদেশের পুলিশ অভিযোগ শুনে ঘটনা খতিয়ে দেখে সাহজেবকে গ্রেফতার করে । পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে পুলিশ এর তদন্ত করছেন। এমনকি সাহজেবের কঠোর শাস্তি হবে এই বিষয়েও বলেন।
গুজরাট থেকে উদ্ধার ২ হাজার কোটির মাদকদ্রব্য, গ্রেফতার ৫ পাকিস্তানি
মহানগর ডেস্ক: দেশের সবথেকে বড় মাদক পাচারচক্র ব্যর্থ করল উপকূলরক্ষী বাহিনী। ভারতীয় নৌবাহিনী, এনসিবি এবং গুজরাট সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (এটিএস) সমুদ্রে যৌথ অভিযান চালিয়ে ৩,১০০কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে। শুনলে চমকে যাবেন যে উদ্ধার হওয়ার নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্যের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য কত।
বুধবার ভারতীয় নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, যৌথ অভিযানে ভারতীয় উপমহাদেশে এটিই সবচেয়ে বড় মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনা। যে জিনিসগুলি উদ্ধার করা হয়েছে সেই ওষুধের আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য আনুমানিক ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। জানানো হয়েছে উদ্ধার হওয়া নিষিদ্ধ মাদকের মধ্যে রয়েছে ৩,০৮৯ কেজি গাঁজা, ১৫৮ কেজি মেথামফেটামিন এবং ২৫ কেজি মরফিন। একটি নৌকার মধ্যে এগুলি পাচার করা হচ্ছিল। নৌকাতে জেরা ছিল তাদের পাকিস্তানি নাগরিক বলে সন্দেহ করে হচ্ছে। নৌকাটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এখানেই শেষ নয় উদ্ধার হওয়া মাদকের প্যাকেটে লেখা ছিল “Produce of Pakistan”। ৫ জন সন্দেহভাজন পাকিস্তানিকে আটক করা হয়েছে।
একটি নজরদারি বিমানের তথ্যের ভিত্তিতে, ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি মিশন-নিয়োজিত জাহাজ গত দু’দিন ধরে সমুদ্রে টহল দিচ্ছিল। ভারতীয় ভূখণ্ডের জলসীমায় প্রবেশ করার পরে সন্দেহজনক নৌকাটিকে থামিয়ে দেয়। এর পরেই গোটা নৌকায় তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশির সময় চক্ষু চড়ক গাছ উঠে যায়। ৫ জনকে গ্রেফতারের সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধার করা হয় এই বিপুল মাদক। বাজেয়াপ্ত করা নৌকা, মাদক ও ক্রু সদস্যদের গুজরাটের পোরবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সন্দেহভাজন পাকিস্তানি ক্রু সদস্যদের সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে এবং মাদক কোথা থেকে আনা হচ্ছিল এবং কোথায় পাচারের চেষ্টা চলছিল খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে।
মহানগর ডেস্কঃ রিল বানাতে অনেকেই পছন্দ করে তাই বলে কিনা পুলিশের গাড়িতে উঠে কেউ রিল বানাবে তা ভাবা দুস্কর ব্যাপার। কিন্তু এই অসাধ্য কাজ করে বসলো এক যুবক। এই ঘটনা উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের ঘটনা।যুবকের নাম মইন খান। পুলিশের গাড়ি ফাঁকা দেখে যুবকের রিল বানানোর মনে ইচ্ছে জাগে। ঠিক যেমন ভাবা তেমনি কাজ। কোনো কিছু না ভেবেই চড়ে বসে পুলিশের গাড়িতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই রিল ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ যুবককে খুঁজে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে খবর,গাজিয়াবাদের ইন্দিরাপুরম রোডে পুলিশ ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যস্ত ছিল, সেখানেই পুলিশের গাড়ি রাখা ছিল, তারা খেয়াল করেননি এই যুবক কখন গাড়িতে ওঠে। মূলত পুলিশ গাড়িতে ছিলোনা।সেই সুযোগ বুঝে গাড়িতে চেপে রিল বানায় ওই যুবক। বৃহস্পতিবার নিজের ইনস্টাগ্রামে এই ভিডিও পোস্ট করার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ছড়িয়ে পড়ে, তারপর পুলিশের নজরে আসে বিষয়টি । সেই ভিডিও তে দেখা যায় পুলিশের গাড়িতে চালকের জায়গায় বসে আছেন ওই যুবক,তারপর সে গাড়িতে উঠে দাঁড়িয়ে পরে, হাতে কোল্ডড্রিংকের ক্যান নিয়ে ফিল্মি কায়দায় লাফিয়ে গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করে দেয় যুবক ।
পুলিশের গাড়ি ব্যবহার করে রিল বানানোর অভিযোগে এই মইন নামের যুবক কে পুলিশ গ্রেফতার করে, এমনকি পুলিশ এও বলেন যে এই গুরুতর কাজের জন্য শাস্তি হিসেবে কড়া পদক্ষেপ নেবে যাতে আর কেউ এরম সাহস না পায়।
প্রেমিকের সাথে বান্ধবীর অন্তরঙ্গ ভিডিও তুলে ‘ব্ল্যাকমেল’, গ্রেফতার প্রেমিক-সহ স্কুলশিক্ষিকা
মহানগর ডেস্ক: প্রেমিকের সাথে বান্ধবীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ক্যামেরা বন্দি করে ‘ব্ল্যাকমেল’ করার অভিযোগে গ্রেফতার এক স্কুল শিক্ষিকা সঙ্গে গ্রেফতার স্কুল শিক্ষিকার প্রেমিকও। সূত্রের খবর, এই ব্যক্তি কলকাতা মেট্রোয় কর্মরত। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তার ফোন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত শিক্ষিকা নির্যাতিতা যেই স্কুলে পরতেন ওই একই স্কুলেই পড়াতেন । এই শিক্ষিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই মেট্রোরেল কর্মীর। জানা গিয়েছে, শিক্ষিকার মাধ্যমেই নির্যাতিতার সঙ্গে ওই মেট্রোরেল কর্মীর পরিচয়পর্ব ঘটেছিল। তিন জন একসঙ্গে মাঝেমধ্যেই প্রচুর জায়গায় এদিক ওদিক ঘুরতে যেতেন, খাওয়া দাওয়া করতেন। পুলিশ সূত্রে দাবি, প্রেমিকার সহযোগেই নির্যাতিতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেন মেট্রোরেলে কর্মরত ওই যুবক। নির্যাতিতাও জরিয়ে পরেন সম্পর্কে। ঘটনার দিন, তাঁর বাড়িতেই খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। শিক্ষিকা ও মেট্রোরেল কর্মী ওই যুবক দু’জনেই উপস্থিত ছিলেন। ওই দিন রাতে নির্যাতিতার বাড়িতে রাতে থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন এরা দু’জন ৷
এরপর নির্যাতিতার সঙ্গে যুবক শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হলে তাঁর প্রেমিকা সেই মুহূর্তের ভিডিও রেকর্ড করে রাখেন বলে অভিযোগ। এতেই সে থামেনি, সেই ভিডিও দেখিয়ে শিক্ষিকা এবং মেট্রো রেল কর্মী নির্যাতিতার থেকে ২০ লক্ষ টাকা নেন। এছাড়া সোনার গয়নাও নেন তাঁরা, রয়েছে । ২০ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরেও পুনরায় ‘ব্ল্যাকমেল’ করায় শেষমেশ নরেন্দ্রপুর থানার দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে দুজনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ।
দিল্লি থেকে গ্রেফতার কাশ্মীরের কুখ্যাত লস্কর জঙ্গি, ছিলেন ভারতের প্রাক্তন সেনা
মহানগর ডেস্ক: দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা (LeTটি) র এক সদস্য। লস্কর জঙ্গি ভারতে গ্রেফতার হওয়া নতুন ঘটনা নয়। তবে চমকের বাকি রয়েছে। কারণ যে ব্যক্তিকে দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছে তিনি ভারতের প্রাক্তন সেনাকর্মী বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
দিল্লি পুলিশ রবিবার ৪ ফেব্রুয়ারি, রিয়াজ আহমেদ, একজন অবসরপ্রাপ্ত জওয়ানকে নিউ দিল্লি রেলওয়ে স্টেশন থেকে গ্রেফতার করেছে৷ জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ কুপওয়ারা জেলায় পরিচালিত একটি এলইটি মডিউল ফাঁস করার কয়েকদিন পরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই অঞ্চলে হামলা চালানোর একটি চক্রান্ত উদঘাটন করে। পুলিশ জানিয়েছে, আহমেদ ষড়যন্ত্রে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। আরও দুই ব্যক্তি খুরশীদ আহমেদ রাথার এবং গোলাম সারওয়ার রাথার অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাওয়ার জন্য নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) জুড়ে হ্যান্ডলারদের সঙ্গে সমন্বয় করত। পুলিশ পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “অভিযুক্ত, রিয়াজ আহমেদ, একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মী এবং জম্মু ও কাশ্মীরে নাশকতামূলক কার্যকলাপ চালানোর জন্য এলইটির সন্ত্রাসী হ্যান্ডলারদের দ্বারা এলওসি পেরিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাওয়ার জন্য তার সহযোগীদের সাথে ষড়যন্ত্রে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল।”
ভারতে সন্ত্রাস দমন অভিযান আগে থেকেই জারি রয়েছে। এর আগেও সন্ত্রাবাদী কার্যকলাপের জন্য একাধিক লস্কর জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সঙ্গে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর থেকে পরিচালিত সন্ত্রাসী মডিউলটি ধ্বংস করা হয়েছে। বিভিন্ন অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ সন্ত্রাসী সহযোগীকে পূর্বে কর্নাহে আটক করা হয়েছিল। জহুর আহমেদ ভাট নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয় যার কাছ থেকে একে সিরিজের রাইফেল, ম্যাগাজিন, রাউন্ড এবং পিস্তল উদ্ধার করা হয়। তদন্তে জানা গিয়েছে জহুর আহমেদ ভাট পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দুই লস্কর হ্যান্ডলারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল।
গ্রেফতারির সঙ্গে রাজ্যপাল জড়িত, আস্থা ভোট দিতে এসে বিস্ফোরক হেমন্ত সোরেন
মহানগর ডেস্ক: আজ রাজস্থানে আস্থা ভোট। এই ভোট থেকেই নির্ধারিত হবে চম্পাই সোরেনের ভাগ্য। এই ফ্লোর টেস্টের জন্য আজ ভোট দিতে উপস্থিত হয়েছেন গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। সোমবার তিনি তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে ফের একবার বিস্ফোরক দাবি করেছেন। বলেছেন তাঁর গ্রেফতারির সঙ্গে রাজ্যের রাজ্যপাল জড়িত রয়েছেন। এই মন্তব্যের পরেই রাজনৈতিক মহলে ঝড় উঠেছে।
চম্পাই সোরেনের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারের জন্য একটি আস্থা ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য পিএমএলএ আদালতের অনুমতি দেওয়ার পরে ঝাড়খণ্ডের বিধানসভায় বক্তৃতায়, হেমন্ত সোরেন তাঁর গ্রেফতারিকে “ভারতের গণতন্ত্রের অন্ধকার অধ্যায়” বলে অভিহিত করেছেন। আগের দিন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন হেমন্ত সোরেনকে ক্লিন চিট দিয়েছিলেন। এখানেই শেষ নয় আজ বিধানসভায় হেমন্ত সোরেন তাঁর বক্তৃতায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, জমি কেলেঙ্কারির সঙ্গে তাঁর সংযোগ প্রমাণ করতে।
তবে শুধু হেমন্ত সোরেন নয়, রাঁচিতে রাজ্য বিধানসভায় ফ্লোর টেস্ট শুরু হওয়ার আগে এই গ্রেফতারি নিয়ে সুর চড়িয়েছেন। আস্থা ভোটের আগে, চম্পাই সোরেন হেমন্তের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, “কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল তা ঘৃণ্য। হেমন্তকে একটি জমি কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যে অপরাধ তিনি কখনও করেননি। তিনি জমির মালিক নন।” তবে যাই হোক ঝাড়খণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে মরিয়া। কোনও ভাবেই বিজেপির হাতে ক্ষমতা না যায় সেই দিকেই বিশেষ নজর দিয়েছেন।
গ্রেফতারিকে নিয়ে করেছিলেন চ্যালেঞ্জ, হেমন্ত সোরেনের পিটিশন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট
মহানগর ডেস্ক: জমি দুর্নীতি মালায় গ্রেফতার হয়েছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আদেবন করেছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী । কিন্তু এই মামলাতে আরও চাপ বাড়ল তাঁর। সুপ্রিম কোর্ট আজ হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারি নিয়ে ইডির পদক্ষেপের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করেছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মামলা খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত।
হেমন্ত সোরেনের পিটিশনের শুনানির সময় তার গ্রেফতারি আজ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, “আমরা হস্তক্ষেপ করছি না, হাইকোর্টে যাও।” জানিয়ে রাখা ভাল, বুধবার গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয় হেমন্ত সোরেনকে। শুক্রবার বিকেলে ১০ দিনের হেফাজতের জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থার অনুরোধে একটি সুনির্দিষ্ট রায় সহ তাকে একদিনের জন্য বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তারপরেই গ্রেফতারি নিয়ে হেমন্ত সোরেন তার পিটিশনে সুপ্রিম কোর্টের সামনে দাবি করেছিলেন যে সংস্থাটি “তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে এবং একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাজ্য সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি খারাপ পদ্ধতিতে কাজ করেছে”।
ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন তার গ্রেফতারকে “অবৈধ এবং এখতিয়ার বাইরে ” বলেও অভিহিত করেছেন। সোরেন ইতিমধ্যে তফসিলি জাতি/তফসিলি উপজাতি আইনের অধীনে তদন্ত সংস্থার সিনিয়র অফিসারদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তিনি বলেছিলেন, “ইডি নির্লজ্জভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের (আদেশ) অধীনে কাজ করছে এবং আবেদনকারীর নেতৃত্বে একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য আবেদনকারীকে আঘাত করছে।”
সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেফতার ২, এখনও অধরা শেখ সাহজাহান
মহানগর ডেস্ক: বাংলায় এই প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটেছিল। তদন্তে নেমে ইডি আধিকারিকরা মার খেয়েছিলেন তৃণমূল নেতাদের অনুগামীদের হাতে। সন্দেশখালিতে শেখ সাহজাহানকে গ্রেফতার করতে গিয়ে ইডি আধিকারিকরা চূড়ান্ত হেনস্তার সম্মুখীন হন। একই হাল দেখা গিয়েছিল বনগাঁ তেও। শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করতে গিয়ে মারধোর খান তদন্তকারী অফিসাররা। শুধু তাই নয়, সন্দেশখালিতে শেখ সাহজাহানকে গ্রেফতার করতে গিয়ে ইডি আধিকারিকদের গাড়ী ভাঙচুর করা হয়, মারধর পর্যন্ত করা হয় ইডি আধিকারিকদের। সেই ঘটনাতে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার দিন ন তদন্তকারী অফিসারদের মারধোরের পাশাপাশি ৪টি ফোন ২টি ল্যাপটপ গাড়ী থেক লূট করে নিয়ে চলে যায় কয়েকজন দুষ্কৃতি । শেষ পর্যন্ত কিনা ইডি আধিকারিকদের মুল্যবান তত্থ চুরি করে কিনা দুষ্কৃতিরা পালালো ? তার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছিল তাহলে পুলিশ মহল কি করছিল? কোথায় ছিলেন তাঁরা যখন এমন ঘটনা ঘটে গেলো সেই তদন্তে নেমেই অবশেষে সন্দেশখালিতে ইডির ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার করা হল । ঘটনার ৭ দিন পর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল ২। মেহবুব মোল্লা ও সুকমল সর্দার নামে ২ জনকে গ্রেফতার করল ন্যাজাট থানার পুলিশ। আজই তাদের বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে।
কিন্তু যাকে ঘিরে এত গন্ডোগল সেই ব্যক্তি কই? সন্দেশখালিকাণ্ডে এখনও অধরা শেখ শাহাজাহান। তাকে কেন এখনও পর্যন্ত ধরা গেলনা প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে। তবে যাই হোক ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ।