মহানগর ডেস্কঃ হাসপাতালে রোগীরা আসেন চিকিৎসা করাতে। কখনও কি শুনেছেনন আসে হাসপাতালে বসে সুখটান দিচ্ছেন রোগী। সুখটান দিলেও ঠিক ছিল কিন্তু ধূমপান করতে গিয়ে পোড়ালেন মুখ। অবাক হলেও এমনটাই ঘটনা ঘটেছে। কড়া নজরদারির ভিতর রোগী থাকেন নিরাপদ ভাবে। তবে এবার এই নিরাপত্তা নিয়েই এবার প্রশ্ন উঠল হাবরা হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
সূত্রের খবর শ্বাসকষ্টজনিত কিছু সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন এক মহিলা। পরে রাতে সবার চোখ এড়িয়ে হাসপাতালের বেডে বসেই ধূমপান করেন তিনি। ধূমপান করা কালীন কোন কারণে তাঁর মুখে ধরে যায় আগুন। সেই সময়েই পাশের বেডে থাকা অনান্য রোগীদের চিৎকারে ছুটে আসেন মহিলা ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সরা। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে মহিলার মুখের ৭০ শতাংশ অংশই পুড়ে যায়। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালের কর্মীদের গাফিলতি নিয়ে। কীভাবে একজন শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালের অভ্যন্তরে ধূমপান করার সুযোগ পায় এবং সেই তামাকজাত দ্রব্য কিকরেই বা সেই মহিলার কাছে আসল তা গোটাটাই এখন তদন্ত সাপেক্ষ।
রোগীর পরিবার সূত্রের খবর রোগী বরাবরই তামাকজাত দ্রব্যে আসক্ত। তাই রাতে সবার অগোচরেই ওই মহিলা ধূমপান করার চেষ্টা করে। তবে এই ব্যাপারে হাসপাতাল কতৃপক্ষ মুখ না খুললেও রোগী কল্যাণ সমতির চেয়ারম্যান এর বক্তব্য রাতের দিকে এই ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিক ভাবেই হাসপাতালের অধিকাংশ কতৃপক্ষ ঘুমিয়ে পরার কারণে কীভাবে ওই তামাকজাত দ্রব্য রোগীর কাছে এল তা স্পষ্ট নয়, তবে ঘটনার তদন্ত শুরু করে দ্রুত আসল দোষীর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলেও তিনি জানান। এদিন ঘটনার পর রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।