মহানগর ডেস্কঃ অস্ট্রেলিয়ায় হায়দরাবাদের তরুণীর রহস্যমৃত্যু ঘিরে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যাচ্ছে নিহত মহিলার স্বামীই এই রহস্য মৃত্যু ঘটনায় দায়ী। নিজে স্ত্রীকে হত্যা করে দেশে ফিরে নিজের সন্তানকে তার শ্বশুর শ্বাশুরির হাতে তুলে দেন অভিযুক্ত। জানা যাচ্ছে নিহত ঐ মহিলার নাম চৈতন্য মাধাগনি, বয়স-৩৬। গত শনিবার বাকলে শহরের পথের ধারে বছর ৩৬এর চৈতন্য মাধাগনির নিথর দেহ পাওয়া যায় একটি রাস্তার ধারের বিনে। অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট কুক এলাকাতেই স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে থাকতেন চৈতন্যর।
সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই মৃতার বাবা মায়ের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে।চৈতনের দেহ হায়দরা ফিরিয়ে আনার জন্য আর্জি রাখা হয়েছে। চৈতন্যর দেহ দ্রুত হায়দারবাদে নিয়ে আসার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে উপ্পল এলাকার বিদায়ক বান্দারি লক্ষ্মা রেড্ডি। হায়দারবাদের উপ্পলেই থাকেন নিহত বৃদ্ধ বাবা মা।
জানা যাচ্ছে বছর ৩৬ এর চৈতন্য তাঁর স্বামী অশোক রাজ বরিকুপ্পালা এবং শিশু সন্তানের সঙ্গে থাকতেন অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট কুক এলাকায়।সেখানকার নাগিরকরত্বও পেয়েছিলেন তাঁরা। মেয়েকে খুন করেছে জামাই, একথা স্বীকার করেছেন চৈতনের মা বাবা।এই ঘটনার পরে যাতে সেই ঘটনার অভিঘাত শিশু সন্তানের ওপর না পরে তাই তড়িঘড়ি সন্তানকে ভারতে নিয়ে আসে ঘটনায় অভিযুক্ত চৈতনের স্বামী। এই বিষয়ে ভিক্টোরিয়া পুলিশ তাঁদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘‘উইনচেলসির কাছে বাকলে এলাকায় একটি নিথর দেহ উদ্ধারের পর হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা তদন্ত করছেন।’’