মহানগর ডেস্ক: হারিয়েছেন মন্ত্রিত্ব। শুক্রবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে অব্যহতি দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী। মন্ত্রিত্ব হারানোর পরেই এবার জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। রেশন দুর্নীতি মামলায় জামিন চেয়েছেন বালু। সূত্রের খবর বালু বিশেষ ইডি আদালতে এই আবেদন করেছেন।
এই প্রথম জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জামিনের আবেদন করেছেন। তাঁর আইনজীবী আগে জানিয়েছিলেন বালুর শরীর অসুস্থ তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজন। তবে সেই সময়ে জামিনের আবেদন করা হয়নি। মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করার পরেই জামিনের আবেদন করলেন বালু। জানিয়ে রাখা ভাল, শুক্রবার রাজ্যপাল রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে সংবিধানের ১৬৬ (৩) অনুচ্ছেদ মেনে অব্যাহতি দিয়েছেন। এও জানা গিয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শের ভিত্তিতেই পার্থ ভৌমিক ও বীরবাহা হাঁসদাকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দফতরগুলি রাজ্যপাল পুনঃবন্টন করেছেন। জ্যোতিপ্রিয়কে অব্যহতি দেওয়ার পর রাজ্যপাল পার্থ ভৌমিককে সেচ ও জলপথ দফতর, পাবলিক এন্টারপ্রাইজ এবং শিল্প পুনর্গঠন দফতর দিয়েছেন এবং প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে বন দফতর (স্বাধীন দায়িত্ব), স্ব-সহায়ক গোষ্ঠী এবং স্ব-কর্মসংস্থান বিভাগ (স্বাধীন দায়িত্ব)-এর দায়িত্ব দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গত ২৭ অক্টোবর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু-কে ইডি গ্রেফতার করে। সেই ঘটনার তিন মাস পর তাকে অব্যহতি দেওয়া হল। রেশন দুর্নীতি মামলায় জল গড়িয়েছে বহুদূর। কেন তাকে বরখাস্ত করা হয়নি এই প্রশ্নও তুলেছে বিরোধীরা। রাজ্যপালের এই সিদ্ধন্তের পর কটাক্ষ করে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর ব্যাপারে আমরা আগেই দাবি তুলেছিলাম। আজ তাঁকে সরানো হয়েছে। কাল বক্তৃত্বা শুনব, এটা বিজেপির চক্রান্ত। বিজেপি রাজনীতিতে না পেরে ইডি, সিবিআই-কে ব্যবহার করছে। কাকে সরালেন আর কাকে সরালেন না, তা নিয়ে বাংলার মানুষ ভাবে না। বাংলার মানুষ জেনে গিয়েছে, যিনি জ্যোতিপ্রিয়, তিনিই শাহজাহান।”