মহানগর ডেস্ক: বিরাশি হাজার থেকে বেড়ে একলাখ বাইশ হাজার। দেশের সমস্ত রাজ্যের মধ্যে এই রাজ্যের বিধায়করাই সব থেকে কম বেতন পেতেন। বিধায়কদের বেতন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করে এমনই যুক্তি দেখিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ানো হয়েছে মন্ত্রীদের বেতনও। ঘুরিয়ে এ রাজ্যের মন্ত্রী-বিধায়করা এতদিন “বঞ্চিত ছিলেন”, এটাও বোঝাতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একদিকে যখন মন্ত্রী-নেতাদের কম বেতন নিয়ে সোচ্চার রাজ্যের প্রধান, ঠিক তখনই এ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ডিএ থেকে বঞ্চিত হওয়া নিয়ে শাসকদলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে আসছেন।
কারো কারো প্রশ্ন, মন্ত্রী বা বিধায়কদের বেতন বাড়ানোর যৌক্তিকতা কোথায়। যেখানে সরকারি কর্মীরা বছর খানেক ধরে ডিএ-র জন্য গলা ফাটিয়ে চলেছেন, তখন এটা বিলাসিতারই নামান্তর। অনেকেরই দাবি, বেতন নয়, মন্ত্রী বিধায়করা বরাবরই সেসবের তোয়াক্কা করেননি। তাঁদের বিলাসবহুল জীবনযাপন দেখে এগারো বছরের তৃণমূল সরকারের সদিচ্ছা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। সম্প্রতি নানা কেলেঙ্কারিতে একের পর এক নেতা-মন্ত্রীর গ্রেফতারের ঘটনা থেকে রাজ্যের কেষ্টবিষ্টু মন্ত্রী নেতার স্বরূপ সামনে নিয়ে এসেছে। মমতা বলেছেন ডিএ বাধ্যতামূলক নয়। ঐচ্ছিক। প্রসঙ্গ টেনেছেন অন্যান্য রাজ্যের সরকারগুলিরও।
ডিএ নিয়ে আন্দোলনকারীদের দিকে একরকম আঙুল তুলে বলেছেন তাঁরা চাইলে কেন্দ্রীয় সরকারে কাজ করুন। মমতার এহেন মনোভাবের পেছনে অনেকেই ভারসাম্যহীন মনোভাবের ইঙ্গিত পেয়েছেন। যেখানে রাজ্যে অর্থসঙ্কটে অনেক প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে,সেখানে বিধায়ক-মন্ত্রীদের প্রতি বদান্যতায় সরকারের বৈষম্যমূলক আচরণের বিষয়টি দেখতে পাচ্ছেন। কেউ কেউ এই শাসনে প্রকৃত বঞ্চিত কারা, তা নিয়েও চর্চা শুরু করে দিয়েছেন। আবার কারো কারো মতে, একের পর এক কেলেঙ্কারিতে দীর্ণ বর্তমান সরকার নতুন করে অক্সিজেন পেতে পথ হাতড়াতে শুরু করেছেন। যদিও প্রকৃত রাস্তার সন্ধান এখনও মেলেনি। তবে খোঁজ চলছে জোরদার।