মহানগর ডেস্কঃ বেঙ্গালুরুতে বিস্ফোরণ ঘটেছিল তা শুনেছিলেন। কিন্তু শুনলে অবাক হবেন ওই বিস্ফোরণের সঙ্গে লিংক আছে নাকি কলকাতার। ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর রামেশ্বর ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটেছিল, যার জেরে আহত হয়েছিলেন কমপক্ষে ১০ জন। দীর্ঘদিন ধরে খোঁজ চলছিল অভিযুক্তদের। শেষমেশ বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ধৃত ২ জন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কাঁথি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি মোবাইল ও একটি ল্যাপটপ সহ বেশ কিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইস।
বিস্ফোরণ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নাম আবদুল মাতিন তাহা এবং মুসাভির হুসেন সাজিব। বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত এই ২জন অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রথমে কলকাতায় আত্মগোপন করেছিলেন। জানা যাচ্ছে, কলকাতার লেনিন সরণিতে একটি হোটেলে, তারা এক রাত থাকে। সেই হোটেকের নাম ‘হোটেল প্যারাডাইস’। এমনকি জানা গেছে বন্দর এলাকাতেও তারা গা ঢাকা দিয়েছিল। তারপর তারা দিঘায় কিছু দিন গা ঢাকা দেয়। আবার দিঘা থেকে দুজনে নিউ দিঘা যায় ১০ এপ্রিল। নিউ দিঘার একটি হোটেলে নাম বদল করে ভুয়ো পরিচয়ে আশ্রয় নেয় ওই ২জন। তারপর দিঘা থেকে কাঁথিতে আসে ওই দুই অভিযুক্ত ব্যক্তি।
দুই অভিযুক্ত যখন কাঁথি এলো, এখান থেকেই ওই দুই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে এনআইএ। সূত্র মারফত খবর, সেন্ট্রাল আইবি থেকে ইনপুট এসে পৌঁছয় জেলা পুলিসের কাছে। খবর পেয়ে তারপরই রাজ্য পুলিশ এবং এনআইএ যৌথ অভিযান চালান। এমনকি এই তদন্তে সহযোগিতা করে কেরালা, কর্নাটক, তেলেঙ্গানা পুলিশ। তারপর ধরা পড়ে এই দুই অভিযুক্ত ব্যক্তি ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতারির পর তাদের থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি মোবাইল ও একটি ল্যাপটপ এবং বেশ কিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইস।
এনআইএ সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের পিছনে আসল মাস্টারমাইন্ড হচ্ছে ধৃত মাতিন। আর ক্যাফেতে আইডি প্ল্যান্ট করেছিল ধৃত সাজিব।বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় আইডি জাতীয় বিস্ফোরক ব্যবহার হয়। একটি ব্যাগের মধ্যে রাখা ছিল বিস্ফোরক, তা থেকে বিস্ফোরণ ঘটে।”
কাঁথি থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতেই, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন “কাঁথি হচ্ছে আমার হোম টাউন। আর পশ্চিমবঙ্গ হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধীর মুক্তাঞ্চল। এটা আগেও প্রমাণিত হয়েছে। এমনকি পাঞ্জাব পুলিশ, চপারে করে এখানে এসে পাঞ্জাবের দুষ্কৃতী এনকাউন্টার করেছে। গোটা দেশে যত অরাজকতা যত বিচ্ছিন্নতাবাদী ঘটনা দেখবেন এখানে ঘটে। তাদের কাছে যেন এটাই সেফ জোন। মমতা ব্যানার্জি নিজে দেশবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত। এখানে রাষ্ট্র বিরোধী একটি সরকার থাকার জন্য তাদের পুলিশকে পার্টি ক্যাডারে পরিণত করেছে। পুলিসের নিজস্ব কাজ না করতে দেওয়ার কারণে এই অবস্থা হয়েছে।”
দিলীপ ঘোষ বলেন, “ভারতবর্ষের যেই প্রান্তে বিস্ফোরণ হয়েছে, তার সঙ্গে যোগ পশ্চিমবঙ্গের। যত্র তত্র জায়গা থেকে অনুপ্রবেশকারীরা এখানে আসে আধার কার্ড বানায়, রেশন কার্ড পরিচয়পত্র নিয়ে সারা দেশে চলে যায় চক্রান্ত চালায়। বাঙালিদের দেশদ্রোহী করার জন্য কারা চক্রান্ত করছে সেই দিকে সরকার পদক্ষেপ নিক। এখানকার সরকারের চোখে এগুলো কেনো পড়েনা?কবে পড়বে?”