BJP leader
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আপাতত স্বস্তিতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রি নিশীথ প্রামাণিক
মহানগর ডেস্ক: সুপ্রিম কর্টের নির্দেশে আপাতত স্বস্তিতে কেন্দ্রিয় প্রতিমন্ত্রি নিশীথ প্রামাণিক। পুরনো একটি মামলায় নিশীথের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে কলকাতা হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চ। তারপরই বিজেপি নেতা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখানেই মিলেছে স্বস্তি। সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে জলপাই্গুড়ি সার্কিট বেঞ্চে আবেদন করার নির্দেশ দেওয়া হয় নিশীথকে এবং ততদিন পর্যন্ত কোনো কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না বলেই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
উল্লেখ্য ২০১৮ সালে দিনহাটায় এক ব্যাক্তির ওপর গুলি চালানোর অপরাধে নিশীথ প্রামানিকের বিরুদ্ধে একটি খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। একই সঙ্গে জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানাও। নিজেকে বাচাতে জলপাইগুরি সার্কিট বেঞ্চের দ্বারস্থ হন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। তবে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া নয়া নির্দেশে স্বস্তি পেলেন নিশীথ। সার্কিট বেঞ্চের আগাম জামিনের আর্জি খারিজ হলেও ২২শে জানুয়ারি পরবর্তী সুনানি না হওয়া পর্যন্ত কোনও কড়া পদক্ষেপ নয় আদেশ সর্বোচ্চ আদালতের। গতকালই ‘রক্ষাকবচ’ পেতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন নিশীথ প্রামাণিক এবং তার শুনানি হয় আজ বিচারপতি বেলায়েম ত্রিবেদী এবং বিচারপরি পঙ্কজ মিত্তালের এজলাসে।
সূত্রের খবর সেখানে উপস্থিত ছিলেন নিশীথ প্রামাণিকের আইনজীবি পি এইচ পাট্টওয়ালি, তার বক্তব্য নিশীথ প্রামাণিক একজন কেন্দ্রিয় প্রতিমন্ত্রী, তার নিজস্ব পোর্টফোলিও আছে, তিনি যখন তখন গ্রেফতারির কারণে রাজ্যে জেতেও ভয় পাচ্ছেন বলেই দাবি করে নিশীথের আইনজীবি এবং একই সাথে নিশীথকে ‘রক্ষাকবচ’ দেওয়ার আবেদন জানান তিনি। পরবর্তীতে বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী ও বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তালের এজলাশে ২২শে জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও কড়া পদক্ষেপ না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
ভারত জোড়ো যাত্রার পরিবর্তে রাহুল গান্ধীর ‘কংগ্রেস জোড়ো যাত্রা’ করা উচিত, কটাক্ষ বিজেপি নেতার
মহানগর ডেস্ক: সামনেই রয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। যার মধ্যেই দুই রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। এই দুই রাজ্য থেকে কংগ্রেসকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল নিতে চায় বিজেপি। এই নিয়েই শুরু হয়েছে লড়াই। ভোটের আগে বিজেপি দাবি করে যে কংগ্রেস বেশ কয়েকটি নির্বাচনী রাজ্যে অভ্যন্তরীণ বিবাদের সম্মুখীন হয়েছে। এই প্রসঙ্গেই বিজেপি নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালা বুধবার বলেছেন, রাহুল গান্ধীর উচিত “ভারত জোড়ো যাত্রার পরিবর্তে কংগ্রেস যোগো যাত্রা” শুরু করা এবং এটি রাজস্থান থেকে শুরু করা উচিত।
ভোটমুখী রাজস্থানের কোটায় সাংবাদিকদের সঙ্গে বলার সময়, বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র দাবি করেছেন যে কংগ্রেস শাসিত রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় তার নেতাদের মধ্যে ফাটল নিয়ে কাজ কসাসি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে পুনাওয়ালা বলেন, ভারতকে একত্রিত করার কাজটি করেছিলেন বল্লভভাই প্যাটেল। মুখ্যমন্ত্রীঅশোক গেহলট এবং তার প্রাক্তন ডেপুটি শচীন পাইলটের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, “তাদের ভারত জোড়ো যাত্রার পরিবর্তে কংগ্রেস জোড়ো যাত্রা করা উচিত এবং রাহুল জিকে রাজস্থান থেকে শুরু করা উচিত।”
পুনাওয়াল্লা সম্প্রতি উদ্বোধন হওয়া কোটায় চম্বল রিভারফ্রন্ট নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগও করেছেন। বিজেপি নেতা বলেছিলেন যে তিনি যখন এখানে পৌঁছেছিলেন, লোকেরা তাকে বলেছিল যে “কোটাতে কংগ্রেসের দুর্নীতি আছে”। জানিয়ে রাখা ভাল, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা এবং মিজোরামের বিধানসভা নির্বাচন আগামী মাসে হবে। ফলপ্রকাশ হবে ৩ ডিসেম্বর।
কলকাতা: সিবিআই এর খাতায় ফেরার দুই দুষ্কৃতি। অথচ তাদের বিরুদ্ধে উঠলো বিজেপি কর্মীর দাদাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। কাঁকুড়গাছির নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দাদাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। অভিজিৎ সরকার হত্যা মামলায় সাক্ষ্যদান শুরু হতে চলেছে মঙ্গলবার। তার আগে নারকেলডাঙা থানা এলাকায় অভিজিতের দাদাকে মারধর করে খুন করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গিয়েছে যে, ২০২১-এর ২ মে, বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিনেই খুন হন কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। সেই মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণের দিন আগামী মঙ্গলবার। তার আগে ওই বিজেপি কর্মীর দাদাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করে দুই দুষ্কৃতী। অরুণ দে ও অমিত দাস নামে দুই ফেরার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আবারও খুনের চেষ্টা অভিযোগ উঠেছে। মামলায় সাক্ষ্যদান থেকে বিরত করতেই এই খুনের চেষ্টার অভিযোগ বলে আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে। সিবিআইয়ের খাতায় ফেরার অরুণ দে ও অমিত দাস নামক ২ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন, ভোটপরবর্তী হিংসায় নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার।
২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হিংসার অভিযোগ উঠে ছিল। ওই বছরের ২ মে ফল ঘোষণার দিন কাঁকুড়গাছির শীতলাতলা লেনের বাসিন্দা অভিজিৎ সরকারের দেহ উদ্ধার করা হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করে অভিজিতের পরিবার। ভাইকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। পুলিশি তদন্তে ভরসা না থাকা সিবিআই এর দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা।
আদিবাসী যুবকের মুখে প্রস্রাব করার অভিযোগে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল অভিযুক্ত বিজেপি নেতার বাড়ি। সেটা ছিল মধ্যপ্রদেশের ঘটনা। এবার বিজেপি নেতার বাড়ি ভাঙা হলো খাস কলকাতায়। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক ও কাউন্সিলরের দিকেই আঙুল তুলেছেন ওই বিজেপি নেতা।
উত্তর কলকাতার বড়তলা থানা এলাকায় বিডন স্ট্রিটে বিজেপি নেতা সুনীল সিংয়ের বাড়ির একতলায় দোকানঘর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেয় পুরসভা। বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য ও শ্যামপুকুর বিধানসভার প্রাক্তন আহ্বায়ক সুনীল সিং। ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হওয়াতেই তাঁর বাড়ি-দোকান ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ ওই বিজেপি নেতার।
২৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তারকনাথ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য এই ঘটনায় রাজনীতির যোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, বেআইনি বলেই পুরসভা ওই অংশ ভেঙে দিয়েছে। যদিও এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন শ্যামপুকুরের তৃণমূল বিধায়ক শশী পাঁজা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
tags- Kolkata, BJP, Leader, House Demolished.