মহানগর ডেস্ক: যেহারে দেশজুড়ে গরম পড়েছে তাতে সাধারণ মানুষকে বারবার সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা। এর মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত উত্তরপ্রদেশের হাতরাসের বিজেপি সাংসদ রাজবীর দিলার ।
BJP MP
Live-In Relationship ‘বিপজ্জনক রোগ’, এর বিরুদ্ধে আইন আনা দরকার, সংসদে প্রস্তাব বিজেপি সাংসদের
মহানগর ডেস্ক: ভারতে লিভ-ইন সম্পর্ককে(Live-In Relationship) স্বীকৃতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ প্রাপ্ত বয়স্ক কোনও ছেলে মিয়ে তাঁদের নিজের ইচ্ছায় একসঙ্গে থাকতে পারে। কিন্তু ভারতে বৈধ হলেও লিভ-ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে বহু সমস্যা দেখা যায় যা সমাজের উপর বিরাট প্রভাব ফেলে। খুনের মত ঘটনা ঘটে হামেশাই। এবার হরিয়ানার একজন বিজেপি সাংসদ আজ লিভ-ইন সম্পর্ককে একটি “বিপজ্জনক রোগ” বলে অভিহিত করেছেন। সেই সঙ্গেই তিনি দাবি করেছেন এই জিনিস সমাজ থেকে নির্মূল করা দরকার এবং সরকারকে এর বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে।
আজ ‘জিরো আওয়ারে’ লোকসভায় বিষয়টি উত্থাপন করে বিজেপি সাংসদ ধরমবীর সিং বলেছেন প্রেমের বিয়েতে বিবাহবিচ্ছেদের হার বেশি তাই তাই এই ধরনের সম্পর্কের জন্য বর ও কনের পিতামাতার সম্মতি বাধ্যতামূলক করা উচিত। বিজেপি নেতা এদিন বলেছেন, দেশে “নতুন রোগ” আবির্ভূত হয়েছে এবং এই সামাজিক কুফলকে “লিভ-ইন সম্পর্ক” বলা হয়। এই সম্পর্কে দুই ব্যক্তি, পুরুষ বা মহিলা, বিয়ে ছাড়াই একসঙ্গে বসবাস করেন। তাঁর কথায়, “এই ধরনের সম্পর্ক পশ্চিমা দেশগুলিতে খুব সাধারণ কিন্তু এই খারাপ জিনিস আমাদের সমাজেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং এর পরিণতি ভয়াবহ। দিল্লিতে একজন ব্যক্তির তার লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে এবং তার দেহকে টুকরো টুকরো করেছিল সেই ভয়াবহ ঘটনার উল্লেখ করে বলেছেন, “সম্প্রতি, শ্রদ্ধা (ওয়াকার) এবং আফতাব (পুনাওয়ালা) এর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল যেখানে দুজনেই লাইভে ছিলেন।” এই ধরনের ঘটনাগুলি প্রায় প্রতিদিনই সামনে আসছে।” তিনি বলেন, “এতে শুধু আমাদের সংস্কৃতিই নষ্ট হচ্ছে না, সমাজে ঘৃণা ও মন্দও ছড়িয়ে পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের সংস্কৃতি মরে যাবে এবং আমাদের সঙ্গে অন্যদের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকবে না।”
ভিওয়ানি-মহেন্দ্রগড়ের সাংসদ বলেছেন, “আমি সরকার এবং সংসদের নজরে আনতে চাই একটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। ভারতীয় সংস্কৃতি ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ (বিশ্ব একটি পরিবার) এবং ভ্রাতৃত্বের দর্শনের জন্য পরিচিত। আমাদের সামাজিক কাঠামো বিশ্বের অন্যদের থেকে আলাদা। বৈচিত্র্যের মধ্যে আমাদের ঐক্য দেখে সমগ্র বিশ্ব মুগ্ধ।” ভারতে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ নিয়ে একটি দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে তারই উল্লেখ করে বিজেপি নেতা বলেন, সমাজের একটি বড় অংশ আজও বাবা-মা বা আত্মীয়দের দ্বারা ঠিক করা বিয়েকে অগ্রাধিকার দেয়। তাঁর কথায় এই বিয়েতে বর ও কনের সম্মতি রয়েছে এবং অ্যারেঞ্জ ম্যারেজে সামাজিক এবং ব্যক্তিগত মূল্যবোধ এবং পছন্দের পাশাপাশি পারিবারিক পটভূমির মতো বেশ কয়েকটি সাধারণ কারণের মিলের ভিত্তিতে হয়।
তিনি আরও বলেছেন, “বিবাহকে একটি পবিত্র সম্পর্ক হিসাবে বিবেচনা করা হয় যা সাত প্রজন্ম ধরে চলতে থাকে… আমেরিকার তুলনায় ভারতে বিবাহ বিচ্ছেদের হার প্রায় ১.১ শতাংশ যেখানে আমেরিকায় বিচ্ছেদের হার ৪০ শতাংশ৷ দেখা গিয়েছেঅ্যারেঞ্জ ম্যারেজে বিচ্ছেদের হার খুবই কম। যাইহোক, সম্প্রতি বিবাহবিচ্ছেদের হার অনেক বেড়েছে এবং এর প্রধান কারণ হল প্রেমের বিয়ে। তাই আমার পরামর্শ যে লাভ ম্যারেজে বর ও কনের মা ও বাবার সম্মতি বাধ্যতামূলক করা উচিত কারণ দেশের বড় অংশে একই ‘গোত্রে’ বিয়ে হয় না এবং প্রেমের বিয়ে হয়। গ্রামে অনেক দ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্বে অনেক পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়, তাই উভয় পরিবারের সম্মতি গুরুত্বপূর্ণ।”
কেদারনাথের মন্দিরে বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ রাহুল গান্ধীর, কি কথা হল…
মহানগর ডেস্ক: ২০২৪ সালের মহাযুদ্ধ অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচনের ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। বিজেপিকে হটিয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া কংগ্রেস। এই নিয়ে চলছে জোর কদমে প্রচার। তার মধ্যেই কেদারনাথে ঘটা ঘটনা গোটা রাজননৈতিক মহলের নজর কেড়েছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং তার ভাই বরুণ গান্ধীর সঙ্গে কেদারনাথ মন্দিরে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেছেন।
গান্ধী পরিবাররে হলেও বরুণ গান্ধী উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ। মঙ্গলবার কেদারনাথ মন্দিরে রাহুল গান্ধী এবং তার ভাই বরুণ গান্ধীর একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক হয়। মন্দিরে যেখানে উভয়েই প্রার্থনা করতে গিয়েছিলেন, সূত্র জানিয়েছে। তবে দুই ভাইয়ের মধ্যে বৈঠক নজরে এসেছে কারণ তাঁদের জনসমক্ষে খুব কমই একসঙ্গে দেখা যায়। এই সাক্ষাৎ-এর পর বরুণ গান্ধীর রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।
সঞ্জয় এবং মানেকা গান্ধীর পুত্র বরুণ গান্ধীকে সাম্প্রতিক মাসগুলিতে বিজেপির মূল বৈঠকে দেখা যায়নি এবং এখন বাতিল হওয়া কৃষি আইনগুলি সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে তাঁর মন্তব্যগুলি নিজের দল বিজেপির অবস্থানের সঙ্গে ভিন্ন ছিল। সূত্র জানিয়েছে যে দুই ভাই মন্দিরের বাইরে অল্প সময়ের দেখা করেছিলেন এবং জানিয়েছেন যে বৈঠকটি “খুব সংক্ষিপ্ত” এবং “উষ্ণ একটি” বৈঠক ছিইথ রাহুল গান্ধী বরুণের মেয়ের সাথে দেখা করে “খুব খুশি” ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে।