মহানগর ডেস্ক: নবাব বাড়ির মেয়ে বলে কথা, তাঁকে বিয়ে করা স্বাভাবিক ভাবেই খুব একটা সহজ কাজ ছিল না। বলিউড অভিনেতা কুণাল খেমু নবাব পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করেছেন। জানেন কি নবাব বাড়ির মেয়েকে বিয়ে করতে কতটা কাঠ খড় পোড়াতে কুণাল খেমুকে। না জানলে জেনে জেনে নিন সোহা আলি খানকে বিয়ের আগে ঠিক কি কি পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল অভিনেতাকে।
শর্মিলা ঠাকুরের মেয়ে সোহা আলি খান যখন কুণাল খেমুকে বিয়ের জন্য ততপর হন তখন অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে, কুণালকে বলতে শোনা গিয়েছিল , “শাশুড়ি শর্মিলা আর শালা সইফ আলি খানের সঙ্গে সাক্ষাতের মুহূর্তে বেশ ভয়ে ভয়ে ছিলেন।” রাজ শামানির পডকাস্ট চলাকালীন, কুণাল মেনে নেন যে, “পরিবারের সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাত আতঙ্কিত বোধ করেছিল”। কুণাল বলেছেন, তাঁর সইফের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ ছিল অনেকটাই সাধারণ। পুল খেলার সময় প্রথম মুখোমুখি হন তাঁরা। এমনকী, সেখানে এসে কুণালের বাইসেপ নিয়ে মন্তব্যও করেছিলেন দাদা সইফ। সব মিলিয়ে সেই সময় খুব বেশি অস্বস্তিতে পড়তে হয়নি। কুণালের কথায় সইফ খোলামেলা স্বভাবের। অভিনয় দুনিয়ার বাইরেও নানা জিনিস নিয়ে তাঁর জ্ঞান রয়েছে যথেষ্।
কুণালের কথায়, হবু শ্বশুর-শাশুড়ি, অর্থাৎ নবাব পতৌদি আর শর্মিলার সঙ্গে সাক্ষাৎ-এর বেলায় পরিস্থিতি ছিল খুবই জটিল । সোহার মায়ের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলার সাহস টুকু ছিলো না বলেই দাবি করেছেন নবাব বাড়ির বর্তমান জামাই। এর আগে কপিল শর্মা শো-তে এসে বেশ মজার ছলেই কুণালকে বলতে শোনা গিয়েছিল ইংল্যান্ডে লেখাপড়া করা বউ সোহার ইংরেজি বুঝতে নাকি মাঝে মাঝে তাঁকে হাতড়াতে হয় অভিধান। সেই সময় কুণাল মজা করে বলেন, ‘অক্সফোর্ড থেকে পড়াশোনা করেছে। ওর ইংরাজি তুখোড় আর আমি এখানে পড়াশোনা করা ছেলে, বুঝতেই পারছেন অবস্থা। আমরা যখন ঝগড় করি- আমি হিন্দিতে করি, ও ইংরাজিতে করে। ঝগড়ার মাঝে সেদিন এমন একটা শব্দ বলল, যা মাথার উপর দিয়ে গেল। আমি সোজা বাথরুমে, গুগল করে দেখলাম। তারপর ফিরে এসে আবার ঝগড়া করলাম। তবে হ্যাঁ, সোহার জন্য আমার ইংরেজির শব্দভান্ডার আগের চেয়ে বেড়েছে।’