মহানগর ডেস্ক : প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরো এক ধাপ এগলো ইডি। এল সফলতা। শেষ পর্যন্ত আনলক হল রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার মোবাইল ফোনটি।মন্ত্রীর সমস্ত ফোন কল ও চ্যাট হিস্ট্রি এখন তদন্তকারীদের হাতের মুঠোয়। এবার কেঁচো খুড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ায় আশঙ্কায় রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এদিকে সামনেই নির্বাচন। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির।
প্রসঙ্গত, গত ২২ মার্চ চন্দ্রনাথ সিনহার বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে টানা ১৪ ঘণ্টা তল্লাশি চালায় ইডি। এর পর মন্ত্রীর ফোন ও নগদ ৪১ লক্ষ বাজেয়াপ্ত করে তারা। তবে ফোনের লক খুলতে না পারায় গত ২৭ মার্চ কলকাতায় ইডির দফতরে তলব করা হয় চন্দ্রনাথকে। কিন্তু সেদিন নিজে হাজির না দিয়ে এক প্রতিনিধিকে পাঠান চন্দ্রনাথ। তিনিই ফোনটি অনলক করে দেন। এবার ফোনটিকে ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে চ্যাট হিস্ট্রি।
উল্লেখ্য, গত বছর ২০ জানুয়ারি হুগলির তৃণমূলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষের বাড়িতে তল্লাশির সময় একটি ডায়েরি উদ্ধার করে পুলিশ। সেই ডায়েরিতে কোন তৃণমূল নেতা কোন প্রার্থীকে পাঠিয়েছেন তার নামের তালিকা রয়েছে। ডায়েরির কয়েকটি পাতায় চন্দ্রনাথ সিনহার নামে লেখা ছিল অন্তত ১০০ জন প্রার্থীর নাম। এর পর জেরায় কুন্তল জানান, ওই প্রার্থীদের তাঁর কাছে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মন্ত্রী। তাই তাঁর নামের নীচে ওই প্রার্থীদের নাম লিখে রাখা হয়েছে।