নয়াদিল্লি: মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে সংসদের বিশেষ অধিবেশনে শুরু হয় সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে বাক্ বিতণ্ডা। হট্টগোলের জেরে বুধবার পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় সংসদ। বিরোধীদের হট্টগোলের মধ্যেই নতুন সংসদ ভবনে পেশ করা হয় মহিলা সংরক্ষণ বিল। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে লোকসভায় আটকে মহিলা সংরক্ষণ বিল।মঙ্গলবার বিরোধীদের হট্টগোলের মধ্যেই বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শেষে নতুন সংসদ ভবনে বক্তব্য রাখেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।মহিলা সংরক্ষণ বিলের ইতিহাস প্রসঙ্গে তার বক্তব্য ঘিরে শুরু হয় হট্টগোল। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস আমলেই এই বিলটি আনা হয়েছিল। মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে উদ্যোগী হয়েছিলেন রাজীব গান্ধী’।তার এই বক্তব্যের পরেই শাসকদলের সাংসদরা প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। অধীর চৌধুরী অসত্য তথ্য দিচ্ছেন বলে দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
মহিলা সংরক্ষণ বিল আমাদের”, বললেন সনিয়া গান্ধী
মহিলা সংরক্ষণ বিলটির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘নারী শক্তি বন্দন’।এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহিলা সংরক্ষণ বিল এর আগেও পেশ করা হয়েছে। কিন্তু পাশ করা হয়নি। মা বোনেদের আশ্বস্ত করছি এই বিল আইনে পরিণত করার দায়িত্ব আমার।’ সোমবারই মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিলটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়।বিলটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হওয়ার পর দেশজুড়ে উচ্ছাস ও উদযাপন শুরু হয়। বেশ কিছুদিন ধরেই মহিলা সংরক্ষণ বিলটি দেশের মধ্যে চর্চায় রয়েছে। বিলটিতে লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভায় মহিলাদের জন্য এক তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে।
New Parliament House: নতুন সংসদ ভবনে প্রথম অধিবেশন, “ভবিষ্যৎ সূচনা হল” বললেন মোদী
প্রায় ২৭ বছর ধরে অমীমাংসিত বিলটিকে এবার পাশ করাতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমানে লোকসভায় মোট ৭৮ জন মহিলা সাংসদ রয়েছেন প্রায় ১৪ শতাংশ। অন্যদিকে রাজ্যসভায় মহিলা সাংসদের সংখ্যা মাত্র ৩২ জন।অন্য়দিকে বিহার, ওড়িশা, কর্ণাটক সহ একাধিক রাজ্যের বিধানসভায় মহিলা সদস্যের সংখ্যা কম।বিলটি পাশ করাতে সংসদের উভয়কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন প্রয়োজন সরকারের। এরমধ্যেই সংসদে বিলটি উথাপনের পরেই বাকবিতন্ডার জেরে বুধবার পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়।