মহানগর ডেস্ক: ফের ঘটলো একই ঘটনা। শব্দ বাজির তাণ্ডবে স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা বাসের কাচ ভেঙে যাওয়ার প্রতিবাদে বন্ধ বাস চলাচল। যার জেরে নিত্যযাত্রীরা ভোগান্তিতে।ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের। বন্ধ রয়েছে ২৬সি রুটের বাস বাস চলাচল। বাসের চাল ও কন্ডাক্টররা নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল রাতে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের অন্তর্গত ২৬সি বাসস্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে একটি কালী ঠাকুর নিয়ে বিসর্জনের জন্য যাচ্ছিল কিছু লোকজন। চলছিল বাজি ফাটানো। তার মধ্যে ছিল শব্দবাজিও। অভিযোগ, শব্দবাজি ফাটানোর পরেই পাথর ছিটকে এসে ভেঙে যায় একটি বাসের কাচ। এই নিয়ে ঠাকুরের সঙ্গে যারা ছিল, তাদের বলতে যান চালক-কন্ডাক্টররা। অভিযোগ উঠেছে, সেই সময় পালটা তাঁদের ওপরেই চড়াও হয় ঠাকুরের সঙ্গে থাকা লোকজন। এরই প্রতিবাদে নিরাপত্তার দাবিতে মঙ্গলবার ২৬সি রুটের বাস বন্ধ রেখেছেন চালক ও কন্ডাক্টররা। এদিকে সাধারণ যাত্রীদের এই ঘটনার জেরে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত বাসের চালক প্রদ্যুৎ হাজরা এই বিষয়ে বলেন, ‘ঠাকুর নিয়ে আসছিল, একটা বোম ফাটালো। ওরা চলে যাচ্ছিল, আমি ছুটে গিয়ে বললাম কী ক্ষতি করলে দেখবে এসো। সঙ্গে সঙ্গে আমায় মারতে এল। তিলক পাল নামে একজনের বাড়ির ঠাকুর। ওঁর লোকজনই বিসর্জন করতে আসে।’ এদিকে পুলিশের গাড়ি ঘটনার সময় ওই জায়গা দিয়েই যাচ্ছিল। তাদের গোচরেও আনা হয় বিষয়টি। এই বিষয়ে কন্ডাক্টর তথা ক্ষতিগ্রস্ত বাসের মালিক সঞ্জয় শাসমল বলেন, ‘প্রশাসনের গাড়ি এখান দিয়ে যাচ্ছিল। আমরা সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের গাড়িকে দাঁড় করিয়ে বললাম। তারা বলল, এফআইআর করলে আমরা পদক্ষেপ করতে পারব, তার আগে তো কিছু করতে পারব না।’
সঞ্জয় শাসমল আশঙ্কা প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘আজ গাড়ির ওপরে এমন হয়েছে। যদি বোম এসে গাড়ির মধ্যে আমাদের বিছানায় পড়ত, তাহলে কী হত? আমাদের কোনও সেফটি নেই! সেই জন্যই সব কর্মীরা একমত হয়ে গাড়ি বন্ধ রেখেছে। আগে একটা ফয়সালা হোক, তারপর গাড়ি চালাব।’