মহানগর ডেস্ক: ফের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী রইল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি এলাকা । আসানসোল-দিঘাগামী একটি SBSTC বাস কাঁথি ঢোকার আগে SH-5 কাঁথি বেলদা রোডের পাশে কচুড়ি বাসস্ট্যান্ডের কাছে আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় । জানা যাচ্ছে, বাসটিতে কমকরে প্রায় ৬০ জন প্যাসেঞ্জার ছিল। স্বস্তির খবর এটাই কেউ আহত বা নিহত হননি, একটু আধটু চোট লাগে যাত্রীরদের, এক শিশুর চোট লাগায় তাকে নিয়ে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আশেপাশের লোকজনরা জানিয়েছেন তাঁরা হঠাৎ একটি বিকট শব্দ শুনতে পান। শব্দ শুনেই স্থানীয় লোকজনরা ছুটে আসেন। দেখাতে পান একটি বাস উল্টে গিয়েছে। তাই পুলিশ কখন আসবে সেই অপেক্ষা না করেই বাসে থাকা প্যাসেঞ্জারদের উদ্ধার করতে তৎপর হয়ে ওঠেন । বাসের যাত্রীদের মতে, বাস ড্রাইভার ঢুলছিল, ঘুম চলে আসার ফলেই এমন বিপত্তি ঘটল । স্থানীয় এলাকার একাংশের দাবি, ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ এই বাস সাতমাইল ক্রস করে কাঁথির দিকে যথেষ্ট গতিতে আসছিল । তাছাড়া আজ ভোরের দিকে প্রচন্ড কুয়াশা ছিল, তার জন্য এই ধরনের বিপত্তি ঘটতে পারে বলেও অনেকের দাবি । স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই ঘটনায় এক শিশু চোট পায়, লোকাল থানার পুলিশ সেই আহত শিশুকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার করিয়ে পরিবারের কাছে পৌছে দেন।
গতবছরের কথা নিশ্চয়ই সবার মনে আছে? উৎসবের মরশুম চলছলছিল,সেই সময়ও এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর সামনে এসেছিল । কাঁথিতে এর আগেও বাসের সঙ্গে গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষের জন্য ভয়াবহ দুর্ঘটনা হয়েছিল,তার জেরে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এমনকি এই ঘটনা ঘটার জন্য দীর্ঘসময় ধরে রাস্তা অবরোধ করেছিল উত্তপ্ত মানুষজন । সরকার যে এত বন্দবস্ত করছে গাড়ি চালানোর সচেতনতার কথা মাথায় রেখে তারপরও কেন বন্ধ করা যাচ্ছেনা দুর্ঘটনা? সচেতনতা বাড়াতে সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ নিয়ে প্রচুর উদ্যোগ দেখা গেলেও তবুও কেন লাগাম টানা যাচ্ছেনা গাড়ি দুর্ঘটনায়? কেন বারবার দুর্ঘটনার ছবি প্রকাশ্যে আসছে উঠছে প্রশ্ন ।